প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীকে ডির্ভোস নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী খোরশেদ আলম। গত ৭ মে বগুড়া সদরের কালীতলার শিববাড়ি সড়কে শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয়। জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে শ্রাবন্তীর। তার ওপর রাগ করেই তার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের রেখেই দেশে চলে আসেন এবং চাকরিতে যোগ দেন। তখন শ্রাবন্তী স্বামীকে ফেরাতে দেশে আসেন, ওঠেন বগুড়াতে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। বাধ্য হয়ে আবারও ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বসেই পান তালাকের নোটিশ। এরপর শ্রাবন্তী দেশে ফিরেছেন গত ২৫ জুন। দেশে ফেরার পর স্বামী খোরশেদ আলমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে দেখা পাননি। শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে, তাকে ও তার দুই মেয়েকে সেই বাসাতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শ্রাবন্তী তার স্বামীর উদ্দেশে লিখেছেন, সত্য মিথ্যা অনেক কথা আসবে, কিন্তু একজন মা আর একজন মানুষ হিসেবে আমার একটাই চাওয়া আমার সাথে আমার সন্তানদের সাথে কোনও অন্যায় না হোক। আমার বাচ্চারা ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় না হোক, এর রেজাল্ট কখনোই ভালো হয় না। ভুল আমারও আছে, খোরশেদ আলমেরও আছে, তাই বলে ডিভোর্স করে আলম বাচ্চাদের সাথে আমার সাথে এমন অন্যায় করতে পারে না। আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবে। সংসার ভাঙবে আর আমি তা মেনে নিয়ে চুপ করে থাকবো তাই না? খোরশেদ আলম আমার সব জেনেশুনে আমাকে বিয়ে করেছিলেন। আর ৭ বছর পর তা নিয়ে আমাকে বেøম করে যাবে তা মানা যায় না। সবকিছুর আগে আমি একজন মা, আলম একজন বাবা। এটা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত না। বাচ্চাদের কোনও দোষ নেই। ওদের মাকেও প্রয়োজন, বাবাকেও প্রয়োজন। ওরা অলরেডি সিক। সো প্লিজ সবাই দোয়া করবেন আমার বাচ্চারা যেন সুস্থ থাকতে পারে। ওরা মা-বাবা দুজনকেই যেন কাছে পায়। একজন শিক্ষক হয়ে এমন অন্যায় যেন আলম আমাদের সাথে না করে। সেই মহিলা নিজেও সংসার মনোযোগ দিয়ে করুক আমাকে উল্টা হুমকি না দিয়ে। উপরে আল্লাহ আছেন। সবকিছু সুন্দরভাবে হোক। আমার বাচ্চাদের সাথে অন্যায় না হোক এটাই আমার চাওয়া। আলম সুন্দরভাবে অন্যায় না করে অনেস্টলি সবকিছু থেকে সরে আসুক। নিজের ফ্যামিলি রক্ষা করুক, একজন শিক্ষক হয়ে ওর কাছ থেকে এটা চাই। সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা কেউ ভুল নিউজ করবেন না। আমি যা বলার এখানেই বলে দিলাম। পারলে আমার সংসারটাকে রক্ষা করতে সাহায্য করুন। আমি এখনও জোর গলায় বলতে চাই, আমার সাথে আর আমার বাচ্চাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। এই জাতি যেন অন্যায়কে সমর্থন না করে। আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই। কারণ তিনিও একজন নারী, তিনিও একজন মা। তিনিও নিশ্চয় চাইবেন না একজন মা ও তার বাচ্চাদের সাথে অন্যায় হোক। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন প্লিজ। আলমের উদ্দেশে শ্রাবন্তী বলেন, কেন এমন করছ? দাও না আমাদের মাফ করে। এক ঘর দরকার নাই, কিন্তু এক ছাদের নিচে থাকি আমরা। বাচ্চাদের প্রতি একটু দয়া করো। তুমি তো প্রতিজ্ঞা করেছিলে, কখনো ছেড়ে যাবে না। এখন কেন ছেড়ে গেছ? আমাদের বাচ্চাদের ভাঙা পরিবারে বড় হতে দিয়ো না। আমি তোমার কাছে হাত জোড় করে বলছি, আমাদের বাচ্চাদের মানসিকভাবে ভেঙে দিয়ো না। সব সংসারেই ঝামেলা হয়। আমাদেরও হয়েছে। সেটা মিটমাটের চেষ্টাও করেছি আমি। শ্রাবন্তী বলেন, আমাকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। গত ২৫ জুন দেশে আসার পর আমি রামপুরা বনশ্রীতে আলমের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে আর বাচ্চাদের বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঢাকায় আমার নিজের কোনো বাসা নেই। শেষে পরিচিতদের সহযোগিতায় এক মামাতো ভাইয়ের বাসায় যাই। এরপর এখন পর্যন্ত আলম আমার সঙ্গে, এমনকি বাচ্চাদের সঙ্গেও দেখা করেনি। বাচ্চাদের কোনো খোঁজ নেয়নি। গত এপ্রিল মাসে আলম যুক্তরাষ্ট্রে যায়। ওই সময় আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি। আমার দুই বাচ্চা সেখানে সরকারের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পায়। আলম আমাকে না জানিয়ে ব্যাংক থেকে সেই ছয় হাজার ডলার তুলে নিয়ে আসে। সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে চলব, কী খাওয়াব, তা ভাবেনি। ও শুধু আমাকেই নয়, বাচ্চাদেরকেও ঠকাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি আমার সন্তানদের ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় করতে চাই না। আমি সংসার রক্ষা করতে চাই। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর আমাদের বিয়ে হয়। এই দ¤পতির ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স ৭ আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে ৩ বছর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।