ক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর ট্রানজিট পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমে কথা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত বৈঠকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনা ও উগ্র বৌদ্ধদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে তারা নিজেদের ভূমিতে ফিরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গারা বলেন, নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার ছাড়া মিয়ানমার কখনো রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ হবে না। তাই সব অধিকার নিয়েই আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই।
সোমবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে অ্যান্তনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম কক্সবাজার পৌঁছান।
সেখানে থেকে তারা পর্যটন এলাকার হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন।
এরপর ১০টার দিকে বালুখালী ট্রানজিট পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রাওনা হলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা সেখানে পৌছাঁন। পরে ট্রানজিট পয়েন্টের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ট্রানজিট পয়েন্ট ঘুরে দুপুর ২টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন
সেখানে তারা রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা পর্যবেক্ষণ করবেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কুতুপালংয়ের ডি-৫ ব্লকে নির্যাতিত অর্ধশত রোহিঙ্গা নারী ও একশ পুরুষের সঙ্গে আলাপ করবেন।
এরপর আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পাঁচটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। সর্বশেষ একই ব্লকে প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের আগমন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জুরদার করা হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সোমবার সকাল থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।