Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার আশঙ্কা উজানের ঢলে

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

চলতি জুলাই মাসের শেষ ভাগে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ মাসে বাংলাদেশে স্বাভাবিক হারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নদ-নদীর উজানে হিমালয় পাদদেশে টানা ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলে বর্ষার মৌসুমী বায়ুমালা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এ কারণে ভাটি অঞ্চলে বন্যা হতে পারে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদী।
জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ) মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় বন্যার এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত উক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ। আবহাওয়া-জলবায়ুর সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত, ঊর্ধাকাশে আবহাওয়ার বিন্যাস, বায়ুমÐলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত মানচিত্র, জলবায়ু মডেল ইত্যাদি সভায় পর্যালোচনা করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীর উজানে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ভারতের আবহাওয়া বিভাগ দেশটিতে ৫ দিনের পূর্বাভাস ও অতিবৃষ্টির সতর্কবার্তায় জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমালয় পাদদেশীয় অঞ্চলগুলো ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ সম্ভাবনা রয়েছে। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সর্বশেষ নদ-নদী প্রবাহের অবস্থা ও পূর্বাভাসে গতকাল জানায়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ব্যতীত প্রধান নদ-নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল দ্রæত বৃদ্ধি পেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারতের জলপাইগুড়িতে ২১৫ মিলিমিটার, চেরাপুঞ্জিতে ১৪৯ মিমি (অতিবৃষ্টি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে চলতি জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ) মাসের বিশেষজ্ঞ কমিটির দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও জানা গেছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে ২টি মৌসুমী লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। যা বৃষ্টিপাতের মাত্রাকে বৃদ্ধি করবে। গত জুন মাসে দেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশী হারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে দেশের বিভাগওয়ারি হিসাবে বৃষ্টিপাতে ছিল অসঙ্গতি। ঢাকা বিভাগের স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫.৫ শতাংশ কম, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ শতাংশ কম, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮.২ শতাংশ বেশী, সিলেট বিভাগে ৮.৫ শতাংশ কম, রাজশাহী বিভাগে ৩৭.৩ শতাংশ কম, রংপুর বিভাগে ১৩.১ শতাংশ বেশী, খুলনা বিভাগে ৯.৯ শতাংশ কম এবং বরিশাল বিভাগে ৬.৩ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এর আগে গত মে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) মাসে দেশে স্বাভাবিক হার ও পরিমানের চেয়ে গড়ে ১৪.৩ শতাংশ বেশী, এপ্রিল (চৈত্র-বৈশাখ) মাসে ৩৬.৭ শতাংশ বেশী বৃষ্টি ঝরে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ