পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দিনের পর দিন টানা অনশনে অসুস্থের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের। গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো অনশনসহ টানা ২১দিন ধরে রাজাধানীর প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা। অনশনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষকদের মধ্যে এপর্যন্ত ১২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়েছেন। ৩৫ জনের শরীরে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ইনকিলাবকে বলেন, ‘দিনের পর দিন আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষকরা আসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকসহ আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতই অসুস্থ হই না কেন, ঝড় তুফান বয়ে গেলেও, আমার মারা গেলেও দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কারো কোনো ক্ষতি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।’ অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা বলেন, তারা ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত সারাদেশে পাঁচ হাজারের অধিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পাঠদান দিয়ে আসছেন। যাদের অনেকের চাকরির মেয়াদ আছে ৫-১০ বছর। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত কষ্টকর ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গতকাল শিক্ষকদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। অনশনরত শিক্ষকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, মানবিক কারণে মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি সরকারের মেনে নেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। তারপর থেকেই এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।