পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর বৃহত্তর হালিশহরে জন্ডিস (হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গতকাল (শুক্রবার) নতুন করে আরও ২২৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন। এ নিয়ে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২৪ জনে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে জন্ডিসের রোগী রয়েছে। হালিশহরের পাশাপাশি নগরীর আগ্রাবাদ, বেপারিপাড়া, মুহুরী পাড়াসহ আশপাশের এলাকায়ও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন জন্ডিসে। আক্রান্তদের অনেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ আবার সরকারি হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বন্দরনগরীর ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। গেল কয়েক মাস ধরে এলাকায় জন্ডিস ও ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পানির কারণেই হালিশহরে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। এরফলে পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এলাকাবাসী।
সরকারিভাবে এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি বিলি করা হচ্ছে। জনসচেতনা বাড়াতে বিলি করা হচ্ছে প্রচারপত্র। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে চসিকের কমিটি এলাকায় কাজ করছে। তারা গতকাল বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। চসিকের টিমের সদস্যরা ছাড়াও সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠিত বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যরা ওই এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ওয়াসার পানি ও ডিপ-টিউবওয়েলের পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে কোন পানি থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
গত মে মাস থেকে এসব এলাকায় প্রথমে পেটের পীড়া ও পরে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব হয়। গত দশদিনে জন্ডিসে তিনজনের মৃত্যুর খবরে ফের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা থেকে বুধবার আইইডিসিআরের একটি দল চট্টগ্রাম এসেছে। দলটি হালিশহর ও এর আশেপাশের এলাকায় জন্ডিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত ও ওইসব এলাকার পানির নমুনা সংগ্রহ করছে। একই দিন সিভিল সার্জন প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর তথ্য চান। পরের দিন ২১৮ জন জন্ডিস আক্রান্তের খবর আসে। মে মাস থেকে জুন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালের হিসাব মতে ১৭৮ জন জন্ডিসে আক্রান্ত হন।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, দ্বিতীয় দিনে আরও ২২৮ জন রোগীর তথ্য পেয়েছি যারা জন্ডিসে আক্রান্ত। তিনি জানান, হালিশহরে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারপত্র ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন পানির লাইন ও ওয়াসার পানির লাইন থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়রা এ সময় ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ পাওয়ার বিষয়টি সিভিল সার্জনকে অবহিত করেন। আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ওয়াসার কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা দরকার। কোথাও লিকেজ আজে কিনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ ছাড়া আমরা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে পানির ট্যাংক চেক করে দেখেছি। বেশিরভাগ পরিবারের পানির ট্যাংকে পোকামাকড়সহ নানা ময়লা পেয়েছি। তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাংক পরিষ্কার করতে বলেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।