বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ২০/২৫টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর, দোকানপাট লুট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের ছোট গোষ্ঠীর হেবজু মিয়ার সাথে ইট মিলের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল পার্শ্ববর্তী ক্ষুদ বি-বাড়িয়ার তুফাইন্না গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে। এর জের ধরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ক্ষুদ বি-বাড়িয়ার শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে থলিয়ারা গ্রামের ছোট গোষ্ঠীর বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষের লোকজন থলিয়ারা বড় ব্রিজের নিকট সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে অর্ধশত আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাহমুদা বেগম, এমরান মিয়া, আলমগীর, এরশাদ, আবু শামা, আশরাফুল, আব্দুর রহমান, নাসির মিয়া, স্বপন, রশিদ, আব্দুল হক, রাশেদ মিয়াদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে সংঘর্ষে চলাকালে ক্ষুদ বি-বাড়িয়ার দাঙ্গাবাজরা বাজারের আলমগীর মিয়া, শফিক মিয়া ও শের আলীর মুদির দোকান ভাংচুর চালিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে থলিয়ারা গ্রামের শাহেদ মিয়ার ৫টি, লফিত মিয়ার ১টি, হামদু মিয়া ২টি, চেরাগ মিয়া ২টিসহ কমপক্ষে ২০/২৫টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। চেরাগ মিয়ার ১টি বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে দাঙ্গাবাজরা। সংঘর্ষ চলার সময় থলিয়ারা পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রহিম উদ্দিন মাষ্টার আতংকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এদিকে খবর পেয়ে সদর থানা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।