Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা নিধন : এক জেনারেল বরখাস্ত হলেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০১ এএম

মিয়ানমার সরকার রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনে অভিযুক্ত এক জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে। গত সোমবার মেজর জেনারেল মং মং সোয়েকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই জেনারেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি রোহিঙ্গা নিধনে বর্বর প্রচারণা চালিয়েছেন। সোয়েসহ মিয়ানমারের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা জারির পর মিয়ানমার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং গত সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জেনারেল মং মং সোয়েকে বরখাস্ত করার খবর জানান। কিন্তু সোয়েকে বরখাস্তের কারণ সম্পর্কে সেনাপ্রধান ওই পোস্টে কিছুই বলেননি। তিনি বলেছেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাখাইনে পুলিশ চেকপোস্টে সশস্ত্র হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে জেনারেল সোয়েকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, বহির্বিশ্বের অব্যাহত চাপ থেকে রক্ষা পেতে মিয়ানমার এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট মিয়ানমার নিয়ে তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গা নিধনে সেনাদের দায়বদ্ধতা স্বীকার না করলেও, এই অভিযোগ থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না।
অপরদিকে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর উপর সেনাবাহিনীর বর্বরতা চালানোর অনেক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। আর সুনির্দিষ্ট নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে নেদারল্যান্ডের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির বিচারকরাও রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছেন। এমনকি তারা মিয়ানমারকে এ ব্যাপারে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরু হলে তাকে পরিকল্পিত সেনা অভিযান ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দেয় জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেজর জেনারেল মং মং সোয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ওই সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ জানায়, রাখাইনে বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জেনারেল সোয়ে দায়ি। কারণ তিনি রাখাইনে সঙ্কট শুরুর সময়ে পশ্চিমাঞ্চল কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন।



 

Show all comments
  • Ikram Sohal ২৭ জুন, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    একজন সেনা অফিসারকের বৱখাস্ত করার মাধ্যমে কি হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার বিচার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল?
    Total Reply(0) Reply
  • Ansar Ali ২৭ জুন, ২০১৮, ৩:৪০ এএম says : 0
    চাপে পরে আরো কতো সেনা অবসরে যাবে,কিন্তু রহিঙ্গা পূনর্বাসন হবে না, চাপে পরে সুচি ও বরখাস্ত হতে পারে তবুও রহিঙ্গা ফেরৎ নেবে না,
    Total Reply(0) Reply
  • Habib Khan ২৭ জুন, ২০১৮, ৩:৪১ এএম says : 0
    বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হওয়া দরকার
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ