পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
ডিভিডেন্ড অনুমোদনে বিশেষ চমক দেখাল রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে ২০১৭ সালের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ২৪ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছেন ব্যাংকটির শেয়ার হোল্ডাররা। ব্যাংকিং খাতে যখন নানা সমালোচনা চলছে তখন সারা বছরই ইতিবাচক আলোচনায় ছিল ব্যাংকটি। তাই ব্যাংকটিকে ঘিরে আকাশচুম্বি প্রত্যাশাও ছিল বিনিয়োগকারীদের। সেই প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে ব্যাংকটি। এজিএমে সভাপতির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বলেন, বছরের শুরুতে ব্যাংকটি ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা করে। লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় যোগ হয় প্রায় ৫৪৩ কোটি টাকা। চলতি বছরে রূপালী ব্যাংক ৭২এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দেয়া লোগোতে ফিরে যায়। খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর অবস্থানে যায় ব্যাংকটি। শীর্ষ ২০ খেলাপি থেকে আদায়ে মনোযোগী হয় প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে শতভাগ অটোমেশনের আওতায় এসেছে রূপালী ব্যাংক। তিনি তার বক্তব্যে ২০১৭ সালের সাফল্যের জন্য পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শেয়ার হোল্ডার, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ, ব্যাংকের পরিচালক অরিজিৎ চৌধুরী, দীনা আহসান, মহিউদ্দিন ফারুকী, আবু সুফিয়ান, একেএম দেলোয়ার হোসেন,এফসিএমএ, মোঃ রিজওয়ানুল হুদা, প্রফেসর ড. সুশীল রঞ্জন হাওলাদার, মো. আবদুল বাছেত খান। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও মোঃ আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকসমূহের মধ্যে রূপালী ব্যাংকই সর্বপ্রথম সকল সেবা অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। ব্যাংকের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রূপালী ব্যাংকের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এ পাঠানোকে বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা বলে অভিহিত করেন। আর এই সব অর্জন সম্ভব হয়েছে যোগ্য পরিচালনা পরিষদের কারনে। তিনি অর্থমন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। পরিচালক এ কে এম দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ব্যাংকের বর্তমান পরিষদ কখনো কোন কাজে হস্তক্ষেপ করেনা। তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংক বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরিসদের নেতৃত্বে শীর্ষে যাবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ ব্যাংকের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাংকটিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয় রূপালী ব্যাংক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯১শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রয়েছে। এজিএমে অন্যান্যদের মধ্যে শেয়ার হোল্ডাররা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোরশেদ আলম খন্দকার, কামরুজ্জামান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপকবৃন্দসহ ব্যাংকের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।