Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমের বাজারে দরপতন

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

সাপাহারের আমিনুল ইসলাম। তিনি একজন আম বাগান মালিক। গত বছরে আমের মূল্য ভালো পাওয়ায় এ বছর আবার কয়েকটি আম বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করেছেন। তিনি চাকুরী ছেড়ে আম বাগান করেছেন গত ৭বছর ধরে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও তার ৭ বিঘা জমিতে আমের বাগান রয়েছে। তিনি বিভিন্ন দোকানে বাকীতে সার, কিটনাশক ও ঋন নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে আমের বাজারের যে অবস্থা লাভ তো দুরের কথা দোকানের বাকী ও ঋন পরিশোধ হবে না। এ দুঃচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। এ রকম শত শত কৃষকের একই অবস্থা। তিনি আরো বলেন অনেক আম চাষীরা টাকা পরিশোধ করতে না পারার কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। কি হবে এসব আম চাষীদের। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন এই আম চাষীদের বেঁচে রাখার জন্য আমের মূল্য বৃদ্ধি করা ও আমগুলো বিদেশে রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতিব জরুরী।
আমের ২য় রাজধানী নওগাঁর ঠা ঠা বরেন্দ্র অঞ্চল। এই অঞ্চলের পতœীতলা, সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর মূলত এই কয়েকটি উপজেলায় রয়েছে দিগন্তজোড়া আমের বাগান। এই অঞ্চলে চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েকটি প্রজাতির আম এক সঙ্গে নামার কারণে গত বছরের তুলনায় এই বছর আমের মূল্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এবার আমের বাম্পার ফলন হলেও উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় দিশেহারা আমচাষীরা। তাই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। আবার অনেকে বাগান কিনে ব্যাপক দরপতনের ফলে বড় ধরনের লোকসানের আশংকায় ঋনের টাকা পরিশোধের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন এলাকা ছেড়ে। বাগান মালিকদের দাবি, গত বছরের চেয়ে এবার আমের দাম অর্ধেক। আর ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন; এক সাথে সব আম নামার কারনে বাজারে আমের দামে ধস নেমেছে।
সাপাহার উপজেলায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে আম বিক্রি করার জন্য চাষীদের দীর্ঘ লাইন আর লাইন। এটি সাপাহারের আমের বাজার। সকালে গাছ থেকে নামানো আম যানবাহনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপাহারে আমের হাটে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ হাটে আমের সরবরাহ বাড়লেও মিলছে না ক্রেতা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাইকারি ব্যবসায়ী না আসায় আমের দাম কম পাচ্ছেন চাষীরা।
সাপাহার বাজারের আমের আড়তদার রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, গত বছর ল্যাংড়া বিক্রি হয়েছে মণ প্রতি ২০০০-২২০০ টাকা; আর এ বছর ৮০০-১২০০ টাকা, খিরসাপাত গত বছর বিক্রি হয়েছে মণ প্রতি ২৪০০-২৫০০ টাকা আর এবার ১২০০-১৪০০শ টাকা এবং গুটি জাতের আম গত বছর বিক্রি হয়েছে ১০০০-১২০০শ টাকা আর এবার ৪০০-৫০০শ টাকা মণ। আমরাও চাষীদের কাছ থেকে আম কিনে বিপাকে পড়ে যাচ্ছি। সামান্য লাভ দিয়েই আমগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করতে বাধ্য হচ্ছি।
বাজারে আম বিক্রি করতে আসা আমচাষী মো: হামিদুল হক বলেন, বর্তমান বাজার অনুযায়ী এক মণ আমের দাম দিয়ে একজন শ্রমিকের বেতনও দেয়া সম্ভব নয় এমন বক্তব্য তাদের। আবার অনেকেই ঋন ও দোকানে সার, কিটনাশকের বাকীগুলো কিভাবে পরিশোধ করবেন এ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।তাই এই অঞ্চলের হাজার আমচাষীদের বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন রোযার সময় আমের দাম কম ছিল। এখন একটু আমের দাম বাড়লেও কৃষকরা আমের দাম সে অনুপাতে পাচ্ছেন না। এতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে সামনের দিনে যদি পাইকার আসে ব্যাপকভাবে তাহলে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন বলে জানালেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->