Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তুরস্কের নির্বাচনে এগিয়ে এরদোগান ও তার এ কে পার্টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৮, ৯:১৬ পিএম | আপডেট : ১:০৭ এএম, ২৫ জুন, ২০১৮

রজব তাইয়্যেব এরদোগান ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অবস্থান সুসংহত করতে চলেছেন। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন একে পার্টি পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৪৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করছে। এ ফলাফলের জন্য বিশ্বনেতারা এরদোগানকে অভিনন্দন বার্তা পাঠাতে শুরু করেছেন। প্রথম অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন বসনিয়া হারজেগোভিনার প্রেসিডেন্ট। এছাড়া ইইউ দেশসমূহের মধ্যে প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছেন হাঙ্গেরীর প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এবং গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাস কোজিয়াস। ক্ষমতাসীন একে পার্টির মুখপাত্র নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবার জন্য সকল দলের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় রোববার গভীর রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, রজব তাইয়্যেব এরদোগান ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বা সিএইচপি’র প্রার্থী মুহাররম ইঞ্জে পেয়েছেন ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ। ওদিকে গুড পার্টির মহিলা প্রার্থী মেরাল আকসেনার ৭ দশমিক ৮ এবং কুর্দিদের প্রার্থী সালাহুদ্দিন দেমিরতাস পেয়েছেন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
ওদিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলেও এগিয়ে রয়েছে রজব তাইয়্যেব এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি বা একে পার্টি। ৯০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, এ কে পার্টি ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ (২৯৮ জন এমপি) পেয়েছে। প্রধান বিরোধী সিএইচপি পাচ্ছে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ (১৪৪ জন এমপি), এমএইচপি ১১ দশমিক ৩ শতাংশ (৪৯ জন এমপি) পাচ্ছে। তবে এরদোগানের পার্টির জন্য হতাশা বয়ে এনে এই প্রথম বারের মতো কুর্দিরা প্রবেশ করতে যাচ্ছে তুর্কি পার্লামেন্টে। এজন্য প্রয়োজনীয় ১০ শতাংশের বেশি ভোট তারা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাদের এইচডিপি পাচ্ছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। যার ফলে তারা পাবে ৬৫ জন এমপির আসন। গুড পার্টি ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ৪৪ জন এমপি পাচ্ছে।
এর আগে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে ৮৭ দশমিক ১৯ ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচনে বড় ধরনের কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে তুর্কি কর্তৃপক্ষ ১০ জন বিদেশীর ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে যারা ভোট পরিদর্শনের আদলে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছে আনাদলু বার্তা সংস্থা। এদের মধ্যে তিন জন ফ্রেঞ্চ, তিন জন জার্মান এবং ৪ জন ইতালিয়ান।
সেনাবাহিনীর একাংশের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর জারি হওয়া জরুরি অবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল দেশটির ভবিষ্যতকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিতে পারে। ২০১৭ সালে সামান্য ব্যবধানে গণভোটের মধ্য দিয়ে এরদোগান প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়িয়েছিলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এখনো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তিনি চেয়েছিলেন, তার রাজনৈতিক বিরোধীরা যখন একটু অপ্রস্তুত অবস্থায় আছে তখনই নির্বাচন দিয়ে সহজে জিতে আসতে। কিন্তু হঠাৎ করেই নির্বাচনী প্রচারণার সময় এমন কতগুলো পরিবর্তনের আভাস দেখা দিয়েছে যা এরদোগানের নিশ্চিত বিজয় নিয়ে একটা সংশয় তৈরি করে বলেই পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় দেখা যায়, এরদোগানকে ঠেকাতে তার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে যায়। মধ্য-বাম জোটের প্রার্থী মুহাররম ইঞ্জের জনসভায় এত বিপুল লোকসমাগম হয়- যা আগে কখনো দেখা যায়নি। তাই মনে করা হচ্ছিল, জনাব এরদোগান এই প্রথমবারের মতো এবার বেশ শক্ত নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। তুরস্কের নির্বাচনে একই দিনে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। নিয়ম হলো, যদি কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান তাহলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ হবে ১৫ দিন পরে।
রজব তাইয়্যেব এরদোগানের প্রধান সমর্থক হচ্ছেন রক্ষণশীল এবং ধার্মিক অপেক্ষাকৃত বয়স্ক তুর্কিরা। তিনি তুরস্কের এতকাল ধরে চলে আসা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামী মূল্যবোধকে শক্তিশালী করেছেন এবং তার সময়ে দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
জনাব এরদোগানের হাতে ইতিমধ্যেই বিপুল ক্ষমতা এবং এ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি আরো ক্ষমতাধর হবেন। কারণ তিনি সংবিধানে যে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন - তাতে প্রেসিডেন্ট পদটি আরো ক্ষমতাশালী হবে, প্রধানমন্ত্রী পদ তুলে দেয়া হবে, প্রেসিডেন্ট নিজে ডিক্রি জারি করতে পারবেন, মন্ত্রী ও বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন। এই এজেন্ডার ওপরই এরদোগান ভোটারদের সমর্থন চেয়েছেন। কিন্তু তার বিপক্ষের মত হলো, এরদোগান একজন একনায়ক হয়ে উঠেছেন, বিচারবিভাগকে হাইজ্যাক করেছেন এবং পশ্চিমের সাথে তুরস্কের সম্পর্ককে ধ্বংস করেছেন। তাই এরদোগানকে ঠেকাতে বিরোধীদলগুলো নতুন করে একজোট হয় এবার। তারা মনে করেন, এ নির্বাচনে তাদের হাতে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে।
ভোট গ্রহণের আগে জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল, মুহাররম ইঞ্জের জোটের প্রতি সমর্থন ২৯-৩০ শতাংশ। এরদোগানের একে পার্টির সমর্থন ৪৮-৪৯ শতাংশের মতো। তাই নির্বাচনে ফল নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, সব বিরোধী দল এক হয়ে ভোট দিলে দ্বিতীয় দফা ভোট হতে পারে।
নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার ৬৩২। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আইডি কার্ড বা শনাক্তকরণ নথি দেখিয়ে ভোট দেন ভোটাররা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাবের কারণে এ নির্বাচনে বিদেশি সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৮ হাজার সদস্য এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে। তবে বিরোধী দলীয় একজন নেতাসহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৩৪টি দেশের ৬০০-এর বেশি সাংবাদিক ভোটগ্রহণের খবর সংগ্রহ করছেন। নির্বাচনে মোট আটটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। এরদোগান ও ইঞ্জে ছাড়া অপর প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা হচ্ছেন ইয়ি পার্টির মেরাল আকসেনার, কুর্দিদের সমর্থিত এইচডিপি’র সালাদিন দেমিরতাশ, ভাতান পার্টির ডোগু পেরিনজেক এবং সাদাত পার্টির তেমেল কারামুল্লাউলু।
পার্লামেন্ট নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিয়েছে বড় দুই দল। এরদোগানের একেপি’র নেতৃত্বাধীন ‘পিপলস অ্যালায়েন্স’ জোটে রয়েছে একে পার্টি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি এবং ইসলামি জাতীয়তাবাদী দল বুয়ুক বির্লিক পার্টি। অপরদিকে কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপি’র নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ জোটে রয়েছে সিএইচপি, ইয়ি পার্টি, ইসলামপন্থী দল সাদাত পার্টি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি।
এরদোগান ২০০৩ সাল থেকেই ক্ষমতায় আছেন। তিনি টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। এ সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশটির। মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে প্রতিদ্ব›দ্বী সিএইচপির মুহাররম ইঞ্জে পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক এবং ১৬ বছর ধরে আইনপ্রণেতা। বিরোধীদের অভিযোগ, এরদোগানের সময়ে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষুণœ হয়েছে। এরদোগান ‘বিভেদকামী’ বলেও মনে করেন বিরোধীরা। তারা বলেন, এরদোগান জয়লাভ করলে ‘এক ব্যক্তির শাসন’ কায়েম হবে। শেষ নির্বাচনী প্রচারে ইঞ্জের সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানের মাস্টারি করা এক জিনিস আর দেশ চালানো আরেক জিনিস। প্রেসিডেন্ট হতে গেলে অভিজ্ঞতা লাগে।’
আর মুহাররম ইঞ্জে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি এরদোগান জেতে, তাহলে তোমার ফোনে আড়িপাতা চলবে, ভয়ের রাজত্ব অব্যাহত থাকবে। আর যদি ইঞ্জে জেতে, তাহলে আদালত হবে স্বাধীন।’ এ সময় তিনি নির্বাচনে জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এরদোগানের জারি করার জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকেই জরুরি অবস্থা জারি করেন এরদোগান। এর পর থেকেই ৬০০ সংসদ সদস্যের সংসদকে পাশ কাটিয়ে দেশ চালাচ্ছেন তিনি। তবে এ কে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর এবারের নির্বাচনেই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। নির্বাচনে অর্থনীতি ও সন্ত্রাসবিষয়ক ইস্যুগুলো সামনে এসেছে। এর পাশাপাশি আরো দুটি বিষয় এ নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব তৈরি করেছে, এর একটি হচ্ছে কুর্দি বনাম তুর্কি জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামী বনাম ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি।
এই নির্বাচনে কুর্দিরাও বেশ প্রভাবশালী ভূমিকা নিয়েছে। তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাক সীমান্তজুড়ে বসতি এলাকায় কুর্দিদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কুর্দিদের ভোট সারা দেশে ১০ ভাগের বেশি হওয়ায় এরদোগানের পার্টির জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কুর্দিদের সংগঠন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) নেতা সালাতিন ডিমারতাস কারাবন্দি অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন। একটি সন্ত্রাসী মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তিনি কারাগারে আছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সালাতিন।
কে কোথায় ভোট দিলেন?
প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান রোববার ইস্তাম্বুলের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী এমিনি এরদোগান ও তার দুই নাতী। প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম পশ্চিম ইজমিরের বাহার ইলদিরিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। আঙ্কারায় ফিরে আসার আগে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)’র প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুহাররম ইঞ্জে রোববার তার নিজ শহর উত্তর তুরস্কের ইয়ালোভার একটি স্কুলে ভোট দেন। নবগঠিত গুড পার্টির প্রার্থী ও একমাত্র মহিলা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মেরাল আকসেনার ইস্তাম্বুলের সাবানসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান করেন।
তুরস্কের নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ভৌগলিকভাবে তুরস্কের অবস্থান এমন এক জায়গায় যে, এর নেতা কে হচ্ছেন তার বৈশ্বিক গুরুত্ব আছে। কারণ তার একদিকে ইউরোপ, অন্য দিকে ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্ত। এর মধ্যে বৃহৎ মুসলিম বিশ্বের এক নেতৃস্থানীয় দেশ তুরস্ক পশ্চিমা বিশ্বেরও এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, নেটো জোটের সদস্য। তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সদস্য পদপ্রার্থী। তুরস্কের সেনাবাহিনী নেটো জোটের দ্বিতীয় দ্রহত্তম বাহিনী।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, কুর্দি সমস্যা, ইরাক-সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই, অভিবাসী সঙ্কট - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনাব এরদোগান আরো ক্ষমতাধর হয়ে উঠলেন। আর যদি তা না হত তাহলে তুরস্ক রাষ্ট্রের গতিপথই বদলে যেতে পারত। জনাব এরদোগান বিপুলভাবে জনপ্রিয়। তাই নির্বাচনের ফল আসার সাথে সাথে পশ্চিমা সংশয়বাদীরা যে ভুল ছিলেন তা প্রমাণিত হল। - এমনটাই আশা এরদোগান সমর্থকদের। সূত্র : হুররিয়াত, সাবাহ, আনাদলু ও বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্কে

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ