গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটের বাকি আর মাত্র দুই দিন। ২৬ জুন মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ফিরছেন গাজীপুরের শ্রমিক ভোটাররা। ১৮ জুন থেকে সিটিতে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হলেও উৎসবমুখর ছিল কম। কারণ ১৪ জুন থেকে গাজীপুরের লাখ লাখ শ্রমিক ঈদুল ফিতর উদযাপনে চলে যান গ্রামের বাড়িতে।
গাজীপুর ছিল প্রায় শ্রমিকশ‚ন্য। তাই এ সময়ে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় কেবল স্থানীয়দেরই বেশি দেখা গেছে। ঈদ উদযাপন শেষে শুক্রবার থেকে শ্রমিক ভোটাররা গাজীপুরে ফিরে আশায় প্রচার-প্রচারণায় নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেদী হাসান ফারুক জানান, তার এলাকায় শ্রমিক ভোটারদের বিরাট একটি অংশ তার সমর্থক। তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শ্রমিক ভোটারদের পাশে সব সময় ছিলেন। প্রচারণার শেষ মুহ‚র্তে শ্রমিক ভোটাররা ফিরে আসায় প্রচারণায় গতি বেড়েছে। ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল আহম্মেদ সরকার জানান, শ্রমিক ভোটারা ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে প্রাণ ফিরে এসেছে এলাকায়।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর শিল্প সমৃদ্ধ গাজীপুর সদর, কোনাবাড়ি, টঙ্গী, কাশিমপুর, ভোগড়া, বোর্ড বাজার, সালনাসহ ব্যস্ততম শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শ্রমিক ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বেশিরভাগ শ্রমিক ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুক্র ও শনিবার সকালে গাজীপুর ফিরেছেন। এলাকায় ফিরেই তারা তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং শুরু করেন প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচারণায় কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়াও প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের প্রচারণায়ও শ্রমিক ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাজীপুরে এসে তাদের দলীয় মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় যোগ দেয়ায় ওই সব এলাকার শ্রমিক ভোটাররাও ওই নেতার সঙ্গে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে প্রচারণায় ফিরে এসেছে নতুন গতি। নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর প্রচারণা।