বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ ৬০ বছর পর বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্বে বড় ব্যবধানের হার এবং ৪৪ বছর ও বিশ্বকাপের ১১ আসর পর গ্রæপ পর্বে অসহায় আর্জেন্টিনা। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টাইন ভক্তদের কাঁদাবে। তবে এ কান্না যদি হয় দিয়াগো ম্যারাডোনার তাহলে সবারই মন ছুঁয়ে যায়। রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নবাগত আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর ‘ডি’ গ্রæপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারের লজ্জা পায় আর্জেন্টিনা। এ হারে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এবার শেষ ষোলোতে যাওয়ার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে গেলো। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এমন লজ্জার হার মেনে নিতে পারেননি কোন আর্জেন্টিনা সমর্থকই। ঠিকই তেমনি মেনে নিতে পারেননি ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনাও।
যিনি আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর গ্যালারিতে বসে কাঁদতে দেখা গেছে ফুটবল যাদুকর ম্যারাডোনাকে। উত্তরসূরিদের এমন বড় হার মেনে নিতে না পেরে গ্যালারিতে বসে মেসিদের খেলা শেষে কাঁদেন ম্যারাডোনা। যেমন কেঁদেছেন বিশ্বের কোটি আর্জেন্টিনা সমর্থকরা।
ম্যাচ শুরুর আগে বেশ হাসিখুশীই ছিলেন ম্যারাডোনা। এমনকি ৫৩ মিনিটে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে যাবার পরও চিন্তিত দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু ৮০ মিনিটে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোল হজমের পরই রেগে যান ম্যারাডোনা। মাথায় হাত দিয়ে, চেয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর ম্যাচ শেষে কাঁদলেন ম্যারাডোনা। কারণ, ততক্ষণে হারের লজ্জা বরণ করে নিয়েছে তার প্রিয় দেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যারাডোনার প্রতি স্পট লাইট ছিলো টিভি ক্যামেরার। ম্যাচ শেষে ম্যারাডোনার কান্না ও চোখের পানি মোছার চিত্র দেখিয়েছে টিভি ক্যামেরা। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর সর্বশেষ বিশ্বকাপ মঞ্চে কেঁদেছিলেন ম্যারাডোনা। সেই দৃশ্য এখনও বিশ্বকাপের আর্কাইভে জ্বল জ্বল করছে। আর শুক্রবার রাতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে তার দল বিধ্বস্ত হওয়ায় আবারো কাঁদলেন ম্যারাডোনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।