পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ, এম এরশাদ বলেছেন, দেশে মাদক দমন প্রয়োজন। যারা মাদক ব্যবসা করে সমাজ এবং যুব সমাজকে নষ্ট করছে তাদের মৃত্যুতে আমার কোনো দুঃখ নেই। তবে রাজপ্রাসাদ সব খালি, রাজারা নেই। চুনোপুঁটিরা মরছে। কারা মাদক ব্যবসা করে আমরা জানি। সেই রাজারা নেই। যারা মরছে তারা চুনোপুঁটি। যে অভিযান শুরু হয়েছে তা যেন সঠিকভাবে হয়। যতদিন পর্যন্ত মাদক নির্মূল না হয়, ততদিন অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ অভিযান সফল হোক আমরা এটাই আশা করি।
তিনি আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদক নির্মূলে ক্রসফায়ারকে সমর্থন জানিয়ে এরশাদ বলেন, মাদকের সর্বনাশা ছোবল দমন করতে গিয়ে যদি কিছু লোক মারা যায় তা গ্রহণ করা উচিত। যদিও আমি বিনা বিচারে মৃত্যু সমর্থন করি না। তারপরেও যারা মাদক ব্যবসা করে যুবসমাজকে ধ্বংস করছে তাদের মৃত্যুতে আমাদের কোনও শোক নেই, দুঃখও নেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, আমিও ৬ বছর জেলে ছিলাম। হাসপাতাল তো দূরের কথা চিকিৎসকের মুখ পর্যন্ত দেখতে দেয়া হয়নি। ওরা চেয়েছিল আমি যেন মরে যাই। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়া ঠিক না। যেহেতু খালেদা জিয়ার স্বামী সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেনা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে উনি (খালেদা জিয়া) সিএমএইচ-এ বা পিজিতেও যেতে পারেন। আমি নিজেও সিএমএইচ-এ চিকিৎসা নিয়ে থাকি। কিন্তু উনি (খালেদা) গো ধরে বসে আছেন, তার ইচ্ছে অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন। এটা তো হতে পারে না।
গাজীপুর, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করে এরশাদ বলেন, ৩টিতেই আওয়ামীলীগের অবস্থান ভালো। তিনটি সিটি কর্পোরেশনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হবে। আমরা মনে করি নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
সরকারের সহযোগী হয়েও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন- এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এরশাদ বলেন, কে বলেছে আমরা সরকারের সহযোগী? আমরা তো বিরোদী দল। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলাই তো আমাদের কাজ।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু ও মেজর (অব) খালেদ আখতারসহ জেলা জাপার সাধারন সম্পাদক ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা জাপার যুগ্ম সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দদুল বারী, শামিম সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে তিনি ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে অবতরণ করেন। পরে সড়ক পথে রংপুর সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।