Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ধেয়ে আসছে বন্যা

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফয়সাল আমীন, সিলেট ব্যুরো : চলতি জুনের শেষে ধেয়ে আসছে বন্যা। আর্বাও দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ঘটবে বিপর্যয়। ভারতের বৃষ্টিপাত বৃষ্টি ও বন্যার কারনে সিলেটে ঘটবে বন্যার সর্বনাশ।
ইতিমধ্যে মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে সিলেটের মৌলভীবাজার বন্যায় বিপর্যস্ত। একই সাথে বন্যা হুমকিতে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সহ সিলেট। ইতিমধ্যে সিলেটের একাধিক উপজেলা এখন বন্যা আক্রান্ত। উজানে ভারতে বৃষ্টিপাত বাড়ায় আর বন্যা দেখা দেয়ায় বাংলাদেশেও উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা অববাহিকা এবং পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আবহওয়া অধিদপ্তর। বন্যা পূর্বাভাস ্ও সতর্কীকরন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুজ্জামন ভূইয়া জানান, মাসের শেষে বেড়ে যেতে পারে ভারতে বৃষ্টিপাত ও বন্যা। এর নেতিবাচক প্রভাবে বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল। একদিকে মৌসুমী বৃষ্টিপাত, সেই সাথে ভারতের অযাচিত পানি, দু‘ইয়ে মিলে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এ অঞ্চলে।
বিরাজমান বন্যায় সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজার শহর তলিয়ে যায়। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতিশীল হয়ে উঠে। বিপর্যয় নেমে আসে জন-জীবনে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি হ্রাস ঘটবে। মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে।
বৃষ্টির ঋতু বর্ষা চলছে। এখনও আষাঢ়ের বর্ষণের দেখা নেই। তবে এখানে বন্যা হয় উজানে ভারতে বৃষ্টি আর বন্যায়। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পানি বাংলাদেশ হয়েই বঙ্গোপসাগরে গিয়ে নামে। আর পানির এই ঢল আসলেই দেখা দেয় বন্যা।
সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যার মৌসুম হিসেবে পরিচিত। গত বছর একটু আগেভাগে এই পানি আসায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তবে এবার ধান কাটা হয়ে যাওয়ায় এক দিন থেকে স্বস্তি আছে।
গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, দেশে বন্যা দেখা দিলে প্রথমে আক্রান্ত হয় বৃহত্তর সিলেট। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু নদীর ঢল ভাসিয়ে নেয় দুই কূল।
গত বছর অকাল বন্যায় ফসলহানি হয়েছিল হাওর এলাকার সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণায়। এবারও প্রথম কোপটা পড়ল সিলেটের এক জেলা মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটের কিছু এলাকায়। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুইয়া জানান, এবারও বন্যা মূলত উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে হবে। সিভিল এন্ড ইনভারমেন্ট ইঞ্জিনয়িারিং বিভাগের অধ্যাপন ড. জহির বিন আলম বলেন, অভ্যন্তরীন পানি সংরক্ষন ব্যবস্থা, ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি বাস্তবতা বিবেচনায় গ্রহন যেমন জরুরী, একই সাথে প্রতিবেশি দেশের সাথে কূটনীতিক আলোচনায় পানি আগ্রাসন বন্ধে কঠোর পদক্ষেন ন্ওেয়ার বিকল্প নেই। এখানে ব্যর্থ হলে পাল্টে যাবে পরিবেশ প্রতিবেশ, হুমকিতে পড়বে জীব বৈচিত্র্যে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার দলীয় এক শীর্ষ রাজনীতিক বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আমাদের মন্ত্রী- এমপিরা সক্রিয়। অনুদান সহায়তা সহ সমবেদনাও দেখাচ্ছেন। কিন্তু বন্যা মুক্তিতে প্রতিকার ও প্রতিরোধে তারা রহস্যজনকভাবে নিসক্রিয়। এই বন্যা পরিস্থিতি তো প্রাকৃতিক নয়, প্রতিবেশী দেশের অবৈধ পানি আগ্রাসনের ফসল। তাই উচিত সরকার তথা র্শীষ রাজনীতিকদের সেই দিকে মনযোগি হওয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ