বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পরপর দুইদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দুই কর্মীকে হত্যার পর পাহাড়ে আরেক কর্মীকে গুলিতে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নে এ হত্যাকাণ্ড হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত সুরেন বিকাশ চাকমা (৫৫) রূপকারী ইউনিয়নের দোখাইয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের সদস্য বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ নিয়ে শুক্রবার, শনিবার ও রোববার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় জেএসএসের (এমএন লারমা) তিনজন খুন হলেন।
এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস এমএন লারমা) প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে। তবে ইউপিডিএফ বরাবরের মতো তা অস্বীকার করেছে।
জেএসএস (এমএন লারমা)-এর তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় নিজ বাড়িতে আমাদের কর্মী সুরেনকে হত্যা করে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা ও ত্রাসের রাজনীতি সৃষ্টি করেছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর মুখপাত্র মাইকেল চাকমা বলেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনার সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। এটা তাদের নিজের আন্তঃকোন্দলও হতে পারে।”
বাঘাইছড়ির থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, “রূপকারী ইউনিয়নে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের খবর পেয়েছি।”
গত শুক্রবার রাঙামাটির লংগদুতে জংগলী চাকমা এবং শনিবার খাগড়াছড়িতে বিজয় ত্রিপুরা নামে জেএসএস (এমএনলারমা)-এর দুই কর্মী গুলিতে নিহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।