Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে চরম দুর্ভোগ

পাহাড়ি নদ-নদী ফুঁসে ভয়াবহ ভাঙন

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

শফিউল আলম : বৃহত্তর চট্টগ্রামে বর্ষণের মাত্রা গতকাল (বুধবার) কমলেও পাহাড়ি ঢল এবং জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো তলিয়ে আছে। সেই সাথে উজান থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলের তোড়ে এ অঞ্চলের পাহাড়ি খর¯্রােতা নদ-নদী, খালসমূহ আরও ফুলে ফুঁসে উঠেছে। চট্টগ্রামের হালদাসহ বিভিন্ন নদী, খালসমূহের দুই তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শত শত বাড়িঘর, ফল-ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ, এক্সেস রোড, হালিশহর, বাকলিয়া, বাদুরতলা, চান্দগাঁও, মোহরা, বহদ্দারহাট, বায়জিদ, পতেঙ্গা, পাহাড়তলী, সাগরিকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফের জোয়ারের ফলে কাদা-পানিতে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম নগরী পানিবদ্ধতা কবলিত হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন গতকাল থেকে তার ৫ দিনের চীন সফর বাতিল করেছেন। তিনি নগরীর পানিবদ্ধ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাউজান, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালীর অনেক এলাকায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বসতঘর, ফসল, শাক-সবজি ক্ষেত, চাষের মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্তরা কোথাও এখনও একমুঠো ত্রাণ সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য পায়নি। অনেকেই এক-আধবেলা খেয়ে দিনাতিপাত করছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে গতকাল জানা যায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব পাহাড়ি অববাহিকায় তথা বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদ-নদীসমূহের (বিশেষত বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাঙ্গু নদী এবং বান্দরবান-কক্সবাজারের মাতামুহুরী নদী) পানির সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্রæত বৃদ্ধি পেতে পারে। এরফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। গতকাল উত্তর চট্টগ্রামের প্রধান নদী হালদার পানির সমতল ফটিকছড়ির নারায়ণহাট পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে ঠিক বিপদসীমা বরাবর, পাঁচপুকুরিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পার্বত্য সাঙ্গু নদী দোহাজারীতে বিপদসীমার কাছাকাছি সতর্ক অবস্থানে প্রবাহিত হয়।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ মোঃ বজলুর রশিদ জানান, বর্ষার মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরালো অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ভারী বর্ষণের সতর্কতায় বলা হয়, প্রবল মৌসুমী বায়ুর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাহাড়ি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ