পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বনের অনেক সৌন্দর্যের মধ্যে একটি হচ্ছে বন মোরগ। দেশীয় মোরগ উড়তে পারে না, তবে লাফ দিয়ে কিছুটা দূরত্বে যেতে পারে। দেখতে দেশীয় মোরগের মতো হলেও আকারে ছোট এবং ওজনে অনেক কম। এক গাছ থেকে অন্য গাছে, এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে উড়ে বেড়ায়। একটি বন মোরগের ওজন সর্বোচ্চ ১ কেজি। আর মুরগীর ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বন মোরগ শিকার চলছে। শিকারিদের কারনে বনের এই সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। বিশেষ করে মধ্য হেমন্ত থেকে পুরো শীতকাল বন মোরগকে টার্গেট করে শিকারিদের বিচরণ থাকে পাহাড় ও বনে। বন মোরগ-মুরগী গহীন অরণ্যে থাকতে পছন্দ করে। এক সময় পাহাড়ে গেলেই এদের উড়ে বেড়ানো ও ছুটোছুটি দেখা যেতো। কিন্তু বর্তমানে দেখা পাওয়া একেবারেই দুর্লভ।
পানছড়ির শুকনাছড়ির অরণ্য থেকে এক জোড়া বন মোরগ শিকার করে ফিরছিলেন পানছড়ির বাসিন্দা রবিউল। তিনি বলেন, প্রায়ই বন মোরগ শিকার করেন। নিজের পোষ্য মোরগ বনে বেঁধে রাখলে বনের মোরগগুলো এর আকর্ষণে আশেপাশে আসতে থাকে। তখন ফাঁদ পেতে বন মোরগ শিকার করেন।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি বন মোরগ বেশ দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। প্রতিটির দাম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। প্রকাশ্যে হাঁটে বিক্রি হলেও কোনো বাঁধা না থাকায় দিন দিন বাড়ছে শিকারিদের দৌরাত্ম্য। প্রকাশ্যে বন মোরগ বিক্রি করলেও এ ক্ষেত্রে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অকার্যকর।
কোনো কোনো শিকারি চিকন সুতার কল, ফাঁদ ও জাল দিয়ে একসঙ্গে ৭ থেকে ৮টি মোরগ-মুরগী শিকার করে। আবার কোনো কোনো শিকারি ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আবাসস্থলে ছিটিয়ে দেয়। আর এ ধান খেয়ে ছোট-বড় অনেক মোরগ-মুরগী মারা যাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগে জবাই করতে হয়। অন্যথায় এরা নিজের পায়ের ধারালো নখ দিয়ে গলার রগ ছিড়ে আত্মহত্যা করে।
একটি বন মোরগের সঙ্গে বড় আকারের দুটি দেশীয় মোরগ লড়াই করে কুপোকাত হয়ে যায়। বন মোরগের পায়ের নখ ও ঠোঁট খুবই ধারালো। লড়াইয়ের সময় বন মোরগ অন্য মোরগকে নখ দিয়ে আচড় দেয় এবং ডানা দিয়ে আঘাত করে দেশীয় মোরগকে ধরাশায়ী করে ফেলে। বন মোরগ খেতে খুবই সু-স্বাদু। বন মোরগের রঙ লাল আর বন মুরগীর রঙ হালকা লাল। স্থানীয়রা জানান, এভাবে বন মোরগ শিকার করা হলে অচিরেই পাহাড় থেকে বন মোরগ হারিয়ে যাবে। খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোমেনুর রশিদ বলেন, বন্য পশু-পাখিরা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল থেকে দূরের বনে চলে যাচ্ছে। মানুষের ক্রমাগত বনাঞ্চল দখলের কারণে এসব ঘটনা বেশি ঘটছে।
জেলা প্রশাসক ও খাগড়াছড়ি জেলা বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, নানা কারণে ধ্বংসের মুখে বন্য প্রাণী। একটি বিশেষ মহলের কারণে গত দুই দশকেও সম্প্রসারণ করা যায়নি বনাঞ্চল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।