মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের লোকসভা ভোট এগিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রবল। এমনটা মনে করেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের সেইমতো তৈরি রাখতে কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের লক্ষ্যে। কোন পথে নরেন্দ্র মোদির বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে তৃণমূল, সেই পরিকল্পনা একপ্রকার ছকা হয়ে গেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এখন সেটাকে বাস্তবে পরিণত করতেই ঘাসফুল শিবির এই লোকসভা ভোট এগিয়ে আসাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে। মনে করছে ডিসেম্বর বা তারপর যে কোনও সময়ে লোকসভা নির্বাচন হতে পারে। আর তা যদি হয়, তা বিজেপির ক্ষেত্রেও বুমেরাং হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, ২০০৪ সালে যে ভুল করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, সেই একই ভুল এবার করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদিও। সেই ভুলই তাদের ডুবিয়ে ছাড়বে। তৃণমূল আশাবাদী, বিজেপিরে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই তাদের পতনের মূল হবে। যেভাবে ২০০৪ সালে ভরাডুবি হয়েছিল অটলবিহারী সরকার, এবার কেন্দ্রের মোদির সরকারও সেই পথ অনুসরণ করে ভরাডুবির পথ বেছে নিয়েছে।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো নরেন্দ্র মোদিও চাইছেন লোকসভা ভোট এগিয়ে এনে কেল্লাফতে করতে। বাজপেয়ী ইন্ডিয়া সাইনিংয়ে ভরসা রেখে ২০০৪ সালে ভোট এগিয়ে এনেছিলেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী বাজপেয়ী ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। কংগ্রেস ফিরেছিল ক্ষমতায়। এবার নরেন্দ্র মোদিও সেই পথ অনুসরণ করতে চলেছেন।
তার একমাত্র কারণ প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া উঠেছে। সেই হাওয়া যদি ঝড়ে পরিণত হয় তখন একা মোদির পক্ষে তা রোখা কঠিন। তাই আগে থেকে ভোট সেরে নিতে চাইছেন। আর সেই আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়ে এবারও না বিপাকে পড়ে মোদি সরকার। তৃণমূল শিবির তাই প্রস্তুত হচ্ছে মোদি সরকারের গতিবিধি বুঝে।
মোদি যতই প্রচার করুন, মানুষ বুঝে গেছে, যে প্রতিশ্রæতির বান বর্ষণ করে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি, তার ছিঁটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেননি। সেই কারণেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া পাঁচ বছরেই তীব্র আকার নিয়েছে। কংগ্রেস সেই পথ ধরেই ফের শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে। সমস্ত বিরোধী শক্তিকে এক জায়গায় করে ঝটকা দিতে চাইছে বিজেপিকে। আর এই কাজে গৌরচন্দ্রিকার ভূমিকা পালন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই সমস্ত আঞ্চলিক শক্তিকে একত্রিত করার মূল হোতা। সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।