Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রয়োজনে এস-৪০০ ব্যবহার করা হবে : এরদোগান

তুর্কিবিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ইতালি সেনারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার দেশ প্রয়োজনে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ব্যবহার করবে। গত বছরের শেষ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করলেও এখনো এ ব্যবস্থা হাতে পায়নি তুরস্ক। গত ৭ জুন তুরস্কের ইংরেজি-ভাষার দৈনিক হুররিয়াত অজ্ঞাত কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ সংগ্রহ করলেও তুরস্ক যাতে তা ব্যবহার না করে সেজন্য তুর্কি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ সম্পর্কে একটি তুর্কি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সমপ্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, তার দেশ এস-৪০০ কিনে গুদামে রেখে দেবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্যই এটি কেনা হচ্ছে। এরদোগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য তুরস্ক বহু বছর ধরে অপেক্ষা করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের দোহাই দিয়ে ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে এটি দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর রাশিয়ার দ্বারস্থ হয়েছে তার দেশ। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রির ক্ষেত্রে চিত্তাকর্ষক প্রস্তাব দিয়েছে। এটি কেনার জন্য মস্কো আঙ্কারাকে অনেক ভালো শর্তে ঋণ দিতেও রাজি হয়েছে বলে জানান তিনি। তুরস্কের দীর্ঘ দিনের শত্রু ‹পিপল প্রটেকশন ইউনিটকে› (ওয়াইপিজি) সহায়তার জন্য সিরিয়ায় সৈন্য পাঠিয়েছে ইতালি। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেইর-এল-জহুর এলাকায় ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এ সৈন্য পাঠিয়েছে ইতালি। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি ইতালি সেনাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, ইতালি সৈন্যরা গত সপ্তাহে ইরাকের হাসাকাহ এলাকা দিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। তবে, আইএস-এর বিরুদ্ধে সিরিয়ায় যে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য ইতালি বাহিনী প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে ইতালি। ইতালি সূত্র দাবি করেছে, ওই এলাকায় ইতালি বাহিনী কোনো সংঘাতে জড়িত নয়। ইতালির যে সেনারা প্রবেশ করেছে তাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে গত ৮ জুন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছিলেন, এই মুহূর্তে তার দেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তা ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা আঙ্কারার হাতে নেই। কাজেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ এসে পৌঁছালে তা তুরস্কের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তিনি আরো বলেন, যেসব দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েও তুরস্ককে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে রাজি হয়নি তারা এস-৪০০-এর কার্যকারিতার ব্যাপারে আঙ্কারাকে হতাশ করার চেষ্টা করছে। আনাদোলু, পার্সটুডে।



 

Show all comments
  • কাওসার আহমেদ ১৪ জুন, ২০১৮, ৭:৫৩ এএম says : 0
    এরদোগান, তুমি এগিয়ে চলো................
    Total Reply(0) Reply
  • শাফায়েত ১৪ জুন, ২০১৮, ৭:৫৪ এএম says : 0
    প্রকৃত মুসলমানরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াকুব ১৪ জুন, ২০১৮, ৭:৫৪ এএম says : 0
    এরদোগানের উচিত মুসলীম বিশ্বকে এক করা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এস-৪০০


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ