মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনই উঠছে না। সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে সিঙ্গাপুর সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা যখন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারব, তখনই উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। আমি আসলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাই- বলেন ট্রাম্প। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে চান না তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হওয়া বাদে আমরা কোনো কিছুতেই ছাড় দেইনি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ট্রাম্পকে যারা অপছন্দ করেন তারাই বলবেন যে আমরা অনেক বড় কোনো প্রতিশ্রæতি দিয়েছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, কিম একজন সৎ, অকপট ও ইতিবাচক মানুষ। তিনি বলেন, কিমের সঙ্গে তার বিশেষ বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা আবারও সাক্ষাৎ করবো। বহুবার আমাদের মধ্যে দেখা হবে। এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া খুবই দ্রæতই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন একটি নথিতে সই করেন। এতে উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিনিময়ে কোরীয় উপদ্বীপে সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অটল ও অনমনীয় প্রতিশ্রæতি দেন কিম জং উন। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত ঘটনাবহুল ২৪ ঘন্টা পার করলাম আমরা। সত্যি বলতে ঘটনাবহুল তিনটি মাস পার হলো।’ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য একটি জায়গা হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করার সম্ভাবনা আছে তাদের।’ ট্রাম্প বলেছেন, ‘পরিবর্তন আসলেই সম্ভব। চেয়ারম্যান কিমের সঙ্গে আমার বৈঠক আন্তরিক, গঠনমূলক আর খোলামেলা ছিল।’ ট্রাম্প বলেছেন, কিম ইতোমধ্যে প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করছেন।’ তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তাদের ঘোষণাপত্রে নেই। ঘোষণাপত্র তৈরি হওয়ার পর দুই নেতা এ বিষয়ে একমত হন। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠককে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই কূটনীতির ক্ষেত্রে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, এ বৈঠকের ফলে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরমাণু ইস্যুতে বিরাজমান অচলাবস্থা দূর হতে পারে। তবে যদি ইতিবাচক ফলাফল না আসে তাহলে চরম মূল্যও দিতে হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বৈঠকের ফলাফল সঙ্কটের মধ্যে পড়তে পারে কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। যার কারণে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় দেরি হতে পারে। কোরিয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিম জং উন তা এখনো ঠিক করতে পারেন নি। এ বিষয়ে দু’নেতার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি। তা না হলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি সামনে এগুবে না। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।