পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে কী ধরণের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে বিএনপি তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে গত কয়েক দিন ধরে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের নয়াদিল্লি সফরের পর। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন। লন্ডন সফররত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসির স্টুডিওতে গত রোববার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের কাছে ঠিক কী ধরণের সাহায্য
চাইছেন আপনারা? জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যেটা চাই ভারতের কাছে, বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভারত যেন সহায়তা করে। ভারত
আমাদের প্রতিবেশী, প্রভাবশালী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ, ঘনিষ্ঠ। তাদের যথেষ্ট যোগাযোগ আছে বাংলাদেশের সঙ্গে। সেখানে অবশ্যই
ভারতের একটা ভূমিকা আছে। কিন্তু কিভাবে ভারত সহায়তা করবে? বিবিসির এ প্রশেড়বর জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো দেশ যদি বড় হয় এবং তাদের যদি একটা ইনফ্লুয়েন্স থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলিতে, সেক্ষেত্রে তারা অবশ্যই বলতে
পারে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা তোমরা করো। আমরা কোনো সাহায্য চাচ্ছি না। আমরা একটা অবাধনিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি যেখানে সবাই ভোট দিতে পারে।
ভারতের যদি বাংলাদেশের ওপর এরকম একটা প্রভাব থাকেও, তারা কেন সেটা করবে? বিশেষ করে যখন বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের এত ভালো সম্পর্ক এবং বিএনপির ব্যাপারে ভারতে অনেকের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে? মির্জা ফখরুলের জবাব, এ সন্দেহ অনেকটাই অমূলক।
কারণ বাংলাদেশে বিএনপি সরকার কখনোই ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করেছে বলে আমার জানা নেই। আর দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটা সরকার ভারতের জন্যই খুব প্রয়োজনীয়। আর ভারতের সঙ্গে বিএনপির বৈরি সম্পর্ক যেগুলো প্রচার করা হয়, সেটা ঠিক নয়।
কিন্তু বিভিনড়ব দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত তো এমন অভিযোগ করে যে বিএনপি আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহীরা বাংলাদেশে আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছে। দশ ট্রাক অস্ত্র চালানের মতো বিষয় ঘটেছে, যেটা ভারতের কাছে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এ ঘটনাগুলো কতটা সত্যি, কতটা তৈরি করা, তা কিন্তু এখনো পরিপূর্ণভাবে আমরা জানিনা। কিন্তু ভারতের মধ্যে বিএনপির ব্যাপারে যে সন্দেহ, সেটা দূর করতে বিএনপির কোন কৌশল কি আছে?
অবশ্যই, আমরা তো সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক হবে, সে সম্পর্কে আমরা একটা পেপারও দিয়েছি। সেখানে আমরা পরিস্কারভাবে বলেছি, উই উইল হ্যাভ জিরো টলারেন্স এবাউট এনি ইনসারজেন্সী ইনসাইড বাংলাদেশ। তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। স্পেস থাকবে না। এটা আমরা যদি সরকারে যাই, এটা আমরা অবশ্যই নিশ্চিত করবো।
বাংলাদেশে বিএনপির অবয়ব একটি ভারতবিরোধী দল হিসেবে। এখন মানুষ যদি দেখে বিএনপিও ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে, সেটা কি বিএনপির রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষতি করবে না?
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা এটাকে এমনভাবে দেখছেন কেন। আপনারা যেভাবে বলছেন তাতে এটা দাঁড়ায় যে এটা একটা প্রতিষ্ঠিত ইমেজ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশড়বটা সেখানে নয়। বিএনপি যেটা বিশ্বাস করে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আর বিএনপিকে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখতে হবে। সেই স্বার্থ দেখতে গিয়ে কেউ যদি বলে যে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছি সেটা কিন্তু সঠিক একটা অ্যানালিসিস নয় বলে আমি মনে করি। আমি করি পারস্পরিক মর্যাদাবোধ, পারস্পরিক স্বার্থ এটা খুব জরুরি। ভারতের তো এটা দায়িত্ব যেন বাংলাদেশে তাদের বিরোধী মনোভাব বা ধারণা তৈরি না হয়। যেটা কীনা তাদের জন্যও ক্ষতিকর, আমাদের জন্যও ক্ষতিকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।