পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষিত ও বেকার ২১০ জন যুবকের প্রত্যেককে চলতি মূলধন প্রদান করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উদ্যোগে উদ্যোক্তাদের প্রত্যেককে তাদের ব্যাংক হিসাবে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।
শনিবার বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের শীতলক্ষ্যা কমিউনিটি সেন্টারে মূলধন প্রদান ও মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোক্তা তৈরির ব্যবস্থাপনায় ছিলো ৮টি জাতীয় ভিত্তিক ও ৩৩টি জেলা ভিত্তিক ব্যবসায়িক সংগঠন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
এর আগে ১৩ ফেব্রæয়ারি ৫শ’ জন নারীকে একটি করে সেলাই মেশিন ও নগদ ৫ হাজার টাকা করে চলতি মূলধন প্রদান করা হয়েছিল। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় ২০ হাজার নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেলিম ওসমানের ভূমিকা নিয়ে ‘চ্যানেল নাইন’ টেলিভিশনে ‘অহংকারের আলো’ অনুষ্ঠানের ১০ মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র ও এনটিভিতে প্রচারিত বিজনেস আইকন অনুষ্ঠানে সেলিম ওসমানকে নিয়ে প্রচারিত ২৮ মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র এবং ‘কৃষক সেলিম ওসমান নামের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, যুব সমাজ শক্ত হলেই নারায়ণগঞ্জ ঘুরে দাঁড়াবে। হবে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার একটি টুকরো হয়ে গড়ে উঠবে নারায়ণগঞ্জ। আমি তোমাদের হাতে শুধু যুদ্ধের অস্ত্র (চলতি মূলধন) তুলে দিলাম। পরিশ্রমটা তোমাদের করতে হবে। জীবনের একটি মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করা যাবে না। সময়কে ব্যবসার মূলধন হিসেবে নিতে হবে। তাহলেই জীবনে সাফল্য আসবে। আমি চলে যাবো। কিন্তু আমি তোমাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। তোমরাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।
তিনি আরও বলেন, যে ২৫ হাজার টাকা তোমাদের ব্যাংক হিসাবে দেওয়া হয়েছে সেই টাকায় কারো কোন অধিকার নেই। এমনকি আমার নিজেরও কোন অধিকার নেই। এটা কোন ব্যাংক লোন নয়। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে আমাদের প্রচেষ্টা। ২৫ হাজার টাকা থেকে তোমারা ৫০০ টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এর সদস্য হবে।
২০ হাজার টাকা তোমাদের একাউন্টে ৩ মাসের জন্য এফডিআর হিসেবে জমা থাকবে। আর বাকি ৪ হাজার ৫শ’ টাকা প্রতি মাসে ১৫শ’ টাকা করে তুলতে পারবে।
যেটা দিয়ে তোমার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা মিল কারখানা ঘুরে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
তোমরা চোখ দিয়ে দেখবে, কান দিয়ে শুনবে তারপর সেটা মগজে ঢুকিয়ে নতুন কিছু বের করে আনবে। তোমাদের মেধা অনুযায়ী তোমরা ব্যবসা করবে সেটা ছোট বড় যে ধরনেরই হোক না কেন। আগামীতে যেন তোমাদের মাধ্যমে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করার সুযোগ হয়।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিকেএমইএ এর সিও সুলভ চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) জিএম ফারুক, পরিচালক হুমায়ন কবির খান শিল্পী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর পরিচালক ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু প্রমখু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।