২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
পাটের প্রধান ফসল আঁশ হলেও এর পাতার গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। শহরে তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও পাটশাক খুব জনপ্রিয়। আগেকার দিনে এ শাক বেচাকেনার প্রচলন ছিল না। কিন্তু ইদানীং বাজারে প্রচুর পরিমাণ পাটশাক পাওয়া যাচ্ছে। পাটের আলাদা তিন ধরনের জাত রয়েছে। দেশী, তোষা এবং কেনাফ। এগুলোর স্বাদও ভিন্ন। দেশী পাটশাক সামান্য তিতা, তবে তোষা বা বগী পাটশাক খেতে বেশ সুস্বাদু। পক্ষান্তরে পুষ্টির দিক থেকে দেশী পাটশাক কিছুটা এগিয়ে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ২৩ টি জাত উদ্ভাবন করেছে। অনুমোদনের জন্য আরও ক’টি প্রক্রিয়াধীন আছে। বিজেআরআই মেস্তা-২ নামক জাতটি শুধু শাক হিসেবেই আবাদ হয়। তাই এর চাহিদা বেশি। ডালের সাথে কচি পাটশাক খেতে দারুণ! এ ছাড়া ভাজি, ছোট মাছ দিয়ে রান্না করেও খাওয়া যায়। এতে ভিটামিন-সি’র পরিমাণ কম থাকলেও ক্যারোটিন আছে প্রচুর।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১ শ’ গ্রামে শর্করা ১২.৬ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.০১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১ শ’ ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ১১ হাজার ৭ শ’ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.১৯ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ৬২ কিলোক্যালরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দৈনিক ৭ শ’ ৫০ মাইক্রোগ্রাম এবং বাচ্চাদের জন্য কমপক্ষে ২ শ’ ৫০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ দরকার, যা পাটশাক হতে অনায়াসেই পেতে পারি।
পাটেশাকে ঔষধিগুণে ভরপুর। ডায়বেটিস, হৃদরোগ, আলসার, টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। ডিএনএ এবং লিভার ক্ষয়রোধে অনন্য। কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। পাতার রস বাতের জন্য বেশ উপকারি। ক্ষুদ্রামন্দা, উদরাময়, আমাশয় এবং অম্লরোগের মহৌষধ। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-এ কেবল রাতকানা ও অন্ধত্ব (শিশুদের) থেকে রক্ষাই করে না; হাম, ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক ব্যাধির জটিলতা কমিয়ে শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস করে। পাটশাক মুখে রুচি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
পাট পাতা দিয়ে তৈরি করা যায় সবুজ চা। স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর এ চা প্রস্তুতের জন্য গাছে ফুল আসার আগেই পাতা সংগ্রহ করতে হবে। পরে সূর্য্যরে আলোতে ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হয়। এতোসব উপকারের কথা ভেবে আমাদের বেশি করে পাটশাক খাওয়া উচিত।
-নাহিদ বিন রফিক
টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট, কৃষি তথ্য সার্ভিস ও পরিচালক,
কৃষি বিষয়ক আঞ্চলিক অনুষ্ঠান, বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল;
মোবাইল নম্বর: ০১৭১৫৪৫২০২৬,
ইমেইল: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।