পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আগামী ১০ জুন আসছে আমাদের সাহিত্য জগতের নজরুলোত্তর যুগের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী কবি ফররুখ আহমদের জন্মবার্ষিকী। ১৯১৮ সালের ১০ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন যশোর জেলার মাঝআইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। সেই নিরিখে আগামী ১০ জুন হবে তাঁর জন্মশত বার্ষিকী। যদিও এই জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তবুও এ মুহূর্তে বলা যাবে না, এ উদ্যোগ কতটা সফল ও সার্থক হবে। ফররুখ আহমদের পিতার নাম খান সাহেব সৈয়দ হাতেম আলী। তিনি পুলিশ বিভাগে চাকুরী করতেন। তাঁর মাতার নাম রওশন আখতার। ১৯২৪ সালে তাঁর মাতার মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে খুব আঘাত পান।
ছোট বয়স থেকেই কবিতা ও সাহিত্য চর্চার প্রেরণা ছিল ফররুখ আহমদের মধ্যে। ১৯৩৭ সালে সুসাহিত্যিক হবীবুল্লাহ বাহার-সম্পাদিত ‘বুলবুল’ পত্রিকায় তার ‘রাত্রি’ শীর্ষক প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। (বাংলা শ্রাবণ ১৩৪৪ সালে)। এ মাসেই তাঁর পাপ-জন্ম নামক কবিতাটি প্রকাশিত হয় মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ-সম্পাদিত মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায়। তার প্রথম গল্প ‘অন্তর্লীন’ প্রকাশিত হয় মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় আষাঢ় ১৩৪৪ সালে। অন্যান্য প্রকাশিত গল্প ‘বিবর্ণ’, মৃত-বসুধা, ‘প্রচ্ছন্ন নায়িকা’ প্রভৃতি লেখেন ১৩৪৪-১৩৪৬ সময় পরিসরে।
তাঁর শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় নিজ গ্রামের পাঠশালায়। পরবর্তীতে তিনি প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন খুলনা জেলা স্কুল থেকে। স্কুল জীবনে তিনি যাদের শিক্ষক হিসাবে পান তাদের মধ্যে ছিলেন কবি গোলাম মোস্তফা, কথা সাহিত্যিক আবুল ফজল ও কবি এম এ হাশেমকে। পরবর্তীকালে তিনি পরিচিত হন কবি আহসান হাবীব, কথাশিল্পী আবু রুশদ, কবি আবুল হোসেন প্রমুখের সঙ্গে। পরবর্তীতে কলকাতা রিপন কলেজে ভর্তির পর শিক্ষক হিসাবে পান বিষ্ণু দে, প্রমথ নাথ বিশী, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখকে। এ সময়ে বুদ্ধদেব বসু-সম্পাদিত ‘কবিতা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ফররুখ আহমদের এক গুচ্ছ কবিতা।
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন সম্পাদিত মাসিক সাহিত্য-পত্র সওগাতে’ প্রথম কবিতা ‘আঁধারের স্বপ্ন’ প্রকাশিত হয় পৌষ ১৩৪৪ সংখ্যায়। এরপর থেকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সওগাতে তিনি নিয়মিত লিখতেন। ১৯৩৯ সালে আই-এ পাস করে তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শনে অনার্স নিয়ে ভর্তি হলে যেখানে সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ফতেহ লোহানী প্রমুখকে ক্লাস ফ্রেন্ড হিসাবে পান।
১৯৪২ সালে ফররুখ আহমদ তাঁর খালাতো বোন সৈয়দা তৈয়বা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪৩ সালে কলকাতা আই-জি প্রিজন অফিসে চাকুরিতে যোগদান করেন। এসময় বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের সপ্তম অধিবেশনে কবি আবৃত্তি করেন ‘দলবাধা বুলবুলি’ ও ‘বিদায়’ শীর্ষক কবিতা। এসময়েই শুরু হয় কবির ‘সাতসাগরের মাঝি’, ‘সিরাজাম মনিরা,’ ‘কাফেলা’ প্রভৃতি কাব্য-গ্রন্থের অন্তর্গত বিভিন্ন কবিতা লেখার পালা।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে। ইতিমধ্যে তিনি মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় চাকুরীতে যোগদান করেন। পরে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার পর তিনি মাসিক মোহাম্মদী থেকে পদত্যাগ করেন। ফররুখ আহমদের প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ছিল “আজাদ করো পাকিস্তান”। এখানে উল্লেখযোগ্য যে মুসলিম বাংলার দুই প্রধান কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও ফররুখ আহমদ দুই জনই পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তি-রূপী ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব দ্বারা প্রবল ভাবে প্রভাবিত হন। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে উপমহাদেশের মুসলিম অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের (আজকের বাংলাদেশ) সম্ভাবনা টের পেয়ে নজরুল ছুটে গিয়েছিলেন তৎকালীন বাঙ্গালী মুসলমানদের মুখপত্র দৈনিক আজাদ অফিসে ঐ সম্ভাব্য রাষ্ট্রের ভাবী নাগরিকদের ছোটকাল থেকেই উপযুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ‘মুকুলের মাহফিল’ নামের ছোটদের একটি আলাদা পাতা খোলার প্রস্তাব নিয়ে। যদিও ১৯৪২ সালে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার ফলে নজরুলের কবি জীবনের করুণ পরিসমাধির কারণে নিজে সে আন্দোলনে তিনি যোগ দিতে পারেননি, ফররুখ আহমদ সেই আন্দোলনে যোগ দিতে সক্ষম হন। ঐ সময়ে গঠিত দৈনিক আজাদ কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক সংস্থা কলকাতার পূর্ব পাকিস্তান রেনেসা সোসাইটির মাধ্যমে। এ সময়েই (১৯৪৬) প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ আজাদ করো পাকিস্তান।
আগেই বলা হয়েছে এক অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে কবি মাসিক মোহাম্মদীর চাকুরী ছেড়ে দেন। অবশ্য এই চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার ফলে তিনি বেকার হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত যশোরে তাঁর শ্বশুর বাড়ীতে চলে যেতে বাধ্য হন। ১৯৪৬ সালে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা আসন্ন হয়ে ওঠে তখন সে রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ভাষা নিয়ে বির্তক শুরু হয়। সে সময় ভাবী নতুন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে বাংলার পক্ষে মাসিক সওগাত পত্রিকায় ‘পাকিস্তান : রাষ্ট্রভাষা ও সাহিত্যি’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করে রাষ্ট্র ভাষা প্রশ্নে বাংলার পক্ষে তাঁর সুস্পষ্ট মতামত প্রকাশ করেন।
পরবর্তীকালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবার প্রাক্কালে যারা শাসন-কর্তৃপক্ষের প্রভাবে পড়ে বাংলাভাষী হয়েও ক্ষুদ্র স্বার্থে বাংলার বিরোধিতা করেন, তাদের বিরুদ্ধে তিনি ‘উর্দু বনাম বাংলা’ শীর্ষক একটি ব্যঙ্গ কবিতা রচনা করে তাদের তীব্র বিরোধিতা করেন।
এখানে সেইব্যঙ্গ কবিতার কিছু অংশ তুলে দেয়া হলো :
“উর্দু বনাম বাংলা”
দুই শো পচিশ মুদ্রা যে অবধি হয়েছে বেতন
বাংলাকে তালাক দিয়ে উর্দুকেই করিয়াছি নিকা।
বাপান্তর শ্রমের ফলে উড়েছে আশার চামচিকা
উর্দুনীল আভিজাত্য (জানে তা নিকট বন্ধুগণ)।
আতরাফ রক্তের গন্ধে দেখি আজ কে করে বমন?
খাঁটি শরাফতি নিতে ধরিয়াছি যে অজানা বুলি
তার দানে চমকাবে এক সাথে বেয়ারা ও কুলি
সঠিক পশ্চিমী ধাচে সে মুহূর্তে করিব অর্জন
পূর্ন মোগলাই ভাব তার সাথে দুপুরুষ পরে
বাবরের বংশ দাবী জানি তা অবশ্য সুকঠিন
(কিন্তু কোন্ লাভ বল হাল ছেড়ে দিলে এ প্রহরে)
আমার আবাদীগন্ধ নাকে পায় আজো অর্বাচীন।
পূর্বোক্ত তালাক সূত্রে শরাফতি করিব অর্জন,
নবাবী পুত্রের ঝাজ আশা করি পাবে পুত্রগণ
আগেই বলেছি কবি ফররুখ আহমদের পিতার নাম ছিল সৈয়দ হাতেম আলী। সে সূত্রে তারও মূল নাম একদা ছিল সৈয়দ ফররুখ আহমদ। কিন্তু নিজে সচেতনভাবে নিজের নামের অংশ থেকে সৈয়দ বাদ দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন এসবকে তিনি কতটা অপছন্দ করতেন। তার অর্থ তিনি তার বংশগত খ্যাতির অনেক ঊর্ধ্বে ছিলেন। এটা তাঁর আদর্শবাদিতারই অন্যতম দিক ছিল।
এবার ফররুখ আহমদের আদর্শবাদিতা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত। ফররুখ আহমদ সত্যিকার অর্থেই ছিলেন একজন আদর্শবাদী ব্যক্তিত্ব। কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে যা সাধারণত দেখা যায় না, এমনকি কল্পনাও করা যায় না তাই ছিলেন তিনি। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন ইসলামে। এ কারণে বাংলাদেশ হওয়ার পর প্রথম দিকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অবিচারেরও শিকার হন। তিনি বাংলাদেশ বেতারে একটি ছোট চাকুরী করতেন। কিছু ইসলাম বিদ্বেষী লোকের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় কর্র্তৃপক্ষের মধ্যে তার সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করানো হয়। ফলে সাময়িকভাবে তাঁর চাকুরী চলে যায়। কিন্তু এ জন্য তিনি কোনো হায় আফসোস করেননি। কিন্তু শিল্পী সাহিত্যিক মহলের অনেকে এতে খুব ক্ষুব্ধ হন। তাদের ব্যাপক প্রতিবাদের ফলে তাকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তবে মজার ব্যাপার হল তিনি তার উপর দিয়ে এত বড় ঝড় যাওয়ার পরও তা নিয়ে তিনি কারো কাছে কোনো দু:খ প্রকাশ করেননি। এ নিয়ে তিনি কোন আফশোষও করেননি।
কবি ফররুখ আহমদ সম্পর্কে বিশেষ মহলের একটি অভিযোগ ছিল যে তিনি পাকিস্তানবাদী। অথচ আজ যে আমরা বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্রটির গর্বিত নাগরিক তার তো সৃষ্টিই হতে পারতো না পাকিস্তান আন্দোলন না হলে, যে কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত তার ‘অসামাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, তিনি সচেতনভাবেই পাকিস্তান আন্দোলনে যোগদেন। কারণ বৃটিশ শাসিত শেষ দিকে যে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয় তাতে স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে পরিষ্কার দুটি পক্ষ হয়ে দাঁড়ায়, যার একটি ছিল অখন্ড ভারত, আরেকটি লাহোর প্রস্তাব-ভিত্তিক পাকিস্তান আন্দোলন। এই লাহোর প্রস্তাবে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, উপমহাদেশের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত দুই প্রান্তে একাধিক স্বতন্ত্র, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এই প্রস্তাবের বাস্তবতা বিবেচনায়ই ১৯৪০ সালে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন অবিভক্ত বাংলাদেশের মুসলমানদের তদানীন্তন অবিসাংবাদিত নেতা শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক।
পরবর্তীকালে এই লাহোর প্রস্তাবের মর্মবাণীকে ধামাচাপা দিয়ে এমন এক পাকিস্তান গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় যার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের ভাগ্য বিধাতা হবে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান)-এর নেতৃবৃন্দ, যদিও পাকিস্তান আন্দোলনে বাঙালী মুসলমানদের ত্যাগ ও সংগ্রামই ছিল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমন কি ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে আজকের পাকিস্তান অঞ্চলের অধিকাংশ প্রদেশে মুসলিমলীগ বিরোধীরা জয়ী হয়। সেদিন একমাত্র বাংলায়ই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে মুসলমানদের সেই ঘোর দুর্দিনে পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা কায়েদে আজমের হাত শক্তিশালী করতে সমর্থ হয়। পাকিস্তান আন্দোলনে বাংলার সেই ঐতিহাসিক ভূমিকা ছাড়া আজকের পাকিস্তানও একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জন্মলাভ করতে পারতো না।
পাকিস্তান আন্দোলনের ইতিহাসে আমাদের সেই ঐতিহাসিক অবদানের প্রতিদান হিসাবে যেখানে স্বাভাবিক কারণে আমাদের অনেক বেশী কিছু পাওয়ার আশা ছিল, পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনটি সদর দপ্তরই স্থাপন করা হয় পশ্চিম পাকিস্তান এবং আরও দু:খের বিষয় সমগ্র পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ অধিবাসী বাংলাভাষী হওয়াসত্বেও বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে অবগুা করে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত শুরু করা হয়। এই অবিচারের বিরুদ্ধেই শুরু হয় ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন। এবং এই ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই স্বায়িত্তশাসন, স্বাধিকার আন্দোলন এবং সর্বশেষে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ মারফৎ লাহোর প্রস্তাবের মর্মবাণী বাস্তবায়নের লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। লাহোর প্রস্তাব ভিত্তিক এই পাকিস্তান আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন কবি ফররুখ আহমদ। এটা অবশ্যই তাঁর কোন অপরাধ ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।