পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
৩৫০টি মসজিদ ও মুসলিমদের সংগঠন বৃটেনের কনজার্ভেটিভ পার্টির কাছে একটি গুরুত্বর আবেদন জানিয়েছে। ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে সেখানে যে ক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত দাবি করা হয়েছে ওই আবেদনে। মুসলিম কাউন্সিল অব বৃটেন (এমসিবি) এ উদ্যোগকে সমর্থন ও অনুমোদন দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক প্রার্থী ও প্রতিনিধি ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই প্রেক্ষিত্রে গত সপ্তাহে কনজার্ভেটিভ পার্টিকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিষয়টি মোকাবিলা করার আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমানে ওয়েলস, বেলফাস্ট, স্কটল্যান্ড ও ম্যানচেস্টারসহ বৃটেনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১১টি অঙ্গ সংগঠন এই উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছে। এপ্রিল থেকে দু’মাসের মধ্যে কনজার্ভেটিভ দল থেকে ডজনেরও বেশি ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমসিবির মুখপাত্র বলেছেন, যেসব মসজিদ এই তদন্তের আহ্বানে সাড়া বা সমর্থন দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এ ঘটনায় এটাই গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ পায় যে, বৃটেনজুড়ে মুসলিম স¤প্রদায়ের চিত্র ফুটে ওঠে। তবে বিবিসির অ্যানড্রু মার শো’তে সাজিদ জাভিদ দলের ভিতরে ইসলামবিদ্বেষ নেই বলে রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন। এর পরেই এমসিবিকে আক্রমণ করে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমসিবি বৃটিশ মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করছে না। জঙ্গিবাদের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র রয়েছে। তবে সরকারের এ অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে এমসিবি। এর সেক্রেটারি জেনারেল হারুন খান বলেছেন, আমরা যে বার্তা দিয়েছি তাতে কোনো উদ্বেগ, গুরুত্ব না দিয়ে সাজিদ জাভিদ বার্তাবাহকের দিকেই আঘাত করেছেন। বিশেষ করে কনজার্ভেটিভ পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান ব্যারোনেস সাইদা ওয়ারসি ও লর্ড মোহাম্মদ শেখের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষের আহ্বান জানিয়েছে এমসিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।