পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হোসাইন আহমদ হেলাল : ইতিহাস বলছে, যারা বিরোধীমতকে সহ্য করছে না তারা জনবিচ্ছিন্ন, ভয় পায় জনমতকে। বর্তমান সরকারের অবস্থা ও অবস্থান তাই প্রমাণ করছে। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ মিছিল করতে দিচ্ছে না, গনতন্ত্রের নামে নিজেরাই একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করছে। ভোগ করছে সকল সুযোগ সুবিধা। অপরদিকে বিএনপি সহ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অশালীন মিথ্যাচার, মামলা-হামলা খুন-গুম বন্দুক যুদ্ধের নামে সারা দেশে মানুষকে আতঙ্কিত করে রেখেছে সরকার। দেশের সকল যন্ত্রকে ব্যবহার করে আরো একটি ০৫ জানুয়ারী নির্বাচন করার জন্য এসব করছে তারা। এবার জনগণ সংবিধান রক্ষার অযুহাত মানবে না। মাইনাস ফর্মূলাও অতীতে জনগণ মানেননি বর্তমানেও মানবে না। তাই আসুন সামঝোতার মাধ্যমে, যৌক্তিক, সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচন পদ্ধতি ঠিক করে দেশের শান্তি-শৃংখলা ফিরিয়ে এনে জনগনকে আতঙ্কমুক্ত করে উৎসব মূখর পরিবেশ তৈরী করি। এতে সবচেয়ে বেশী লাভবান হবে সরকারীদল আওয়ামীলীগ। কারন তাদের আশঙ্কা ও হতাশা বেশী। সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিবার করে সহমর্মিতার মাধ্যমে জনমত জয়ের পথে এগিয়ে যাই। মিথ্যাচারের রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। জনগনের কাছে এটি হাস্যকর ও ঘৃণীত।
বাংলাদেশে অহিংস রাজনীতির প্রথম নেতৃত্বদানকারী বিএনপির মহা-সচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সম-সাময়িক কোন নেতা-নেত্রী, কোন নাগরীককে অসম্মান করে, প্রতিহিংসার জ্বালা মিটিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন সম্ভব নয়। এটি সাময়িক বিনোদন দেয়, ভবিষ্যৎ কে অন্ধকার করে। বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অসংখ্য অগ্নি পরিক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন। এখনও তিনি মানুষের গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য সরকারের অনেক হয়রানী নির্যাতন সহ্য করে চলছেন। এশাদের ৮ বছর, ১/১১ সময়ে ২ বছর, বর্তমান সরকার আমলে ৯ বছর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারে আপোসহীন নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। এখনও তিনি অতীতের ন্যায় অবিচল রয়েছেন। তিনি কারো করুণা চান না, তিনি জনগনের প্রতি আস্থাশীল, অপরদিকে আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা অতীতে গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে আপস করেছে আর বর্তমানে গনতন্ত্র নিয়ে মিথ্যাচার খেলা খেলছেন। দু’জন নেত্রীর পার্থক্য এখানেই।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নি¤œ পর্যায়ের নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন, বিএনপির জনসমর্থন নেই। আন্দোলনে নামতে পারছেন না, এটি যে সত্য নয় এটা তারা জেনে শুনে বলছে, তাদের মনের জোর ধরে রাখার জন্য। এসব মিথ্যাচার দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা। এটি তাদের কৌশল এবং উস্কানী মূলক বক্তব্য। আওয়ামীলীগের কোন উস্কানী এবং ষড়যন্ত্রমূলক কৌশলে বক্তব্যে বিএনপি পা দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। ঈদের পরেই সহায়ক সরকার ফর্মূলাও গণঅবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করবে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি মঙ্গল গ্রহের কোন দল নয়, বাংলাদেশের অন্যতম একটি শীর্ষ রাজনৈতিকদল। মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তাঁরই সহধর্মিনী বাংলাদেশের শীর্ষ জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া সেই গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য আজ রাজপথ থেকে কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কোন পাতানো নির্বাচনে অংশ নিবে না, নিতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগ বলছিলো আদালতের রায়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে,এখানে তাদের কোন হাত নেই, কোন মামলা তাকে গ্রেফতার দেখানো হবেনা, এখন কি হচ্ছে, তারা কি বলছে, কি করছে, মানুষ সবই বুঝে। জনগনকে বোকা বানানো মানেই হচ্ছে কখনো নিজের কোন ছোটখাটো অর্জন থাকলে সেটিও হারিয়ে যায়, তিনি বলেন আওয়ামীলীগ কখনো পুলিশের, কখনো আদালতের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের আড়াল করতে চাইছে, সেজন্য সকল মহলকে সতর্ক থাকা উচিত। নির্বাচনে কারচুপি হলে ইসির দোষ, মানুষ মরলে পুলিশের দোষ। ন্যায় বিচার না পেলে আদালতের দোষ, এসব চরিত্র নিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি। বর্তমানে দেশের কোন সেক্টরেই তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারছেনা। সেক্টর গুলোকে আওয়ামীলীগ নানাভাবে জনগনের কাছে ঘৃনীত কলঙ্কিত প্রশ্ন বিদ্ধ করে তুলছে। সেক্টর প্রধানগন এ বিষয়ে সতর্ক নজর দেবেন এমনটি প্রত্যাশা করে জনগন।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, শঙ্কা, সতর্ক, আতঙ্ক শুধু বিএনপিতে নয় আওয়ামীলীগেও আছে, জনগনের মধ্যেও আছে। এটি যত দ্রæত সমাধান করা যায় ততই মঙ্গল। সমঝোতা-সহনশীলতার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে, তবে তাল গাছ আমার, আগাছা তোমার, তা হতে পারে না, আমরা চাই একটি সুন্দর নির্বাচন, জনগন নির্বিঘেœ ভোট দিয়ে যাকে খুশী তাকে নির্বাচিত করুক, এতে কারো দ্বিমত পোষনের সুযোগ নেই। ইসির মতবিনিময় সভায় অধিকাংশ দল পরিস্কার ভাষায় এটিও বলে দিয়েছেন, গ্রহনযোগ্য সরকার। বিরোধীদল থাকলেই সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব, এটি কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। দেশের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্তে সকল দল, পেশাজীবী মহলের ঐক্যমত প্রয়োজন। তাহলে সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন সফল হবে। এদেশ কারো একার নয়, যে তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলেই এটি সার্বজনীন হবে, সবাই মানবে এটি ভাবা মোটেই ঠিক নয়। ঐক্যমত থাকলে প্রতিবেশীসহ বিদেশী রাষ্ট্রের কাছে দাবী আদায় সহজ হবে এবং উচ্চ মর্যাদা সম্মান পাওয়া যাবে। নিজের দেশে শোষন, নির্যাতন, নিপিড়ন, ঘুম, খুন, একদলীয় শাসন কায়েম, বিরোধী মতকে অসম্মান করে ডিগ্রী গ্রহন হাস্যকর হবে। প্রতিবেশী দেশ ও বিদেশীরাও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ভালভাবেই জানেন। তিনি বলেছেন সরকারের নির্বাচনী চালবাজির ফাঁদে বিএনপি পা রাখবে না। সমঝোতা হতে পারে সেটি হতে হবে সার্বজণীন। বাংলাদেশের শীর্ষ জনপ্রিয় নেত্রীকে কারাগারে নির্যাতন করে আবারও ক্ষতায় যাওয়ায় ফন্দি সফল হবে না। বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী এবং শীর্ষ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। সমঝোতা হলে সকলের শঙ্কা কেটে যাবে। এদেশে অহিংস রাজনীতির সু-বাতাস বইবে। এমন প্রত্যাশা সকলের থাকা উচিত। সহিংস রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আমরা ইতি মধ্যে প্রমান করতে পেরেছি। এতে আমাদের বড় সফলতাও এসেছে। যা আমাদের ভবিষ্যত রাজনীতিতে কাজে লাগবে।
বিএনপি মহসচিব বলেন, আমরা চাচ্ছি কিভাবে একটি সুন্দর নির্বাচন করা যায়। সেটি নিয়ে আমাদের ভাবনা। এ আওয়ামীলীগ সরকার এবং শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ রূপে প্রশাসন নির্ভর হয়ে উঠেছেন, জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের এ নির্ভরতা, বেগম খালেদা জিয়া জন আস্থায় অবিচল। যার কারনে কারাগারে নির্যাতিত হয়ে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি জনপ্রীয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারের উস্কানীতে নয়, ধৈর্য্যরে বাঁধ ভাঙ্গঁলেই নতুন আন্দোলনে যাবে বিএনপি, তখনই সহায়ক সরকার ফর্মূলা ইনশা আল্লাহ সারা দেশে গণঅবস্থান সহ নানা কর্মসূচী ঘোষণা করবে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে আমরা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।