পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার’ হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মরহুম বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার পর গতকাল (বুধবার) রাতে নগরীর গুডস হিলের বাসভবনে হামলা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে যায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফটিকছড়ি থানায় দুপুরে মামলা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন। এ মামলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা সারওয়ার আলমগীরসহ আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ফটিকছড়ি উপজেলা সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
মামলার বাদি জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, ওই সভায় দেয়া বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরিণতি বঙ্গবন্ধুর চেয়েও খারাপ হবে।’ এ ধরণের বক্তব্য দেয়ার কথা শুনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমরা ওই অনুষ্ঠানস্থলে যাই। সেখানে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং বন্দুক নিয়ে তাড়া করে। জামাল উদ্দিন বলেন, ওই সভায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে একটি স্থানীয় দৈনিকে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেয়া, কটুক্তি করা, বিস্ফোরণ ঘটানো এবং বন্দুক নিয়ে তাড়া করায় এ মামলা করা হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ওসি জাকির হোসেন মাহমুদ বলেন, বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়া এবং ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগও করা হয়েছে। এদিকে গুডস হিলে হামলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর চকবাজারসহ কয়েকটি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গুডস হিলে যান। সেখানে তারা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসভবনের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। বাড়ির গ্যারেজে থাকা কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুরের শিকার হয়। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাতে ইনকিলাবকে বলেন, কিছু যুবক গুডস হিলে হামলা চালিয়েছে, আমরা সেখানে পৌঁছার আগেই তারা সরে গেছে। তবে হামলার খবর পুলিশকে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
জানা গেছে, হামলার সময় বাড়িতে গিয়াস কাদের চৌধুরী ছিলেন না। তার মেজ ভাই মরহুম সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও কয়েকজন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইফতারের পর ২৫-৩০ জন যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। তারা ঘরের দরজা-জানালা ও বাড়ির গ্যারেজে রাখা ৮টি গাড়ি ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘরের দরজা-জানালা ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসভবনও ভাঙচুর হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে হামলা ও ভাঙচুরের পর জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে তারা গুডস হিল ত্যাগ করে। এসময় সড়কে টহল পুলিশ থাকলেও তারা নিরব ছিলেন বলে অভিযোগ করেন গুডস হিলের বাসিন্দারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।