Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা নিধন অব্যাহত, কোনও পদক্ষেপ নেয়নি মিয়ানমার

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রস্তুতকৃত বার্ষিক প্রতিবেদনে মন্তব্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের চাপ সত্তেও রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার জাতিগত নিধন অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি করা বার্ষিক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পররাষ্ট্র দফতরের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা তুলে ধরা হয়। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় নিধনের তীব্র সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে। তা সত্তে¡ও মিয়ানমার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারপরও সেখানে সহিংসতা বন্ধ হয়নি। বরং নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণের শিকার হয়ে নতুন করে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যায়। এমনকি মিয়ানমারের কোচিনে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এখনো সহিংসতা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেন বৈশ্বিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মার্কিন দূত স্যাম ব্রাউনব্যাক। মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যেই জাতিগত সহিংসতা চলছে। গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর হামলার মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম উপকূলবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরো চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়। এদিকে গত ১২ মে শান রাজ্যের মুসেতে সেনাবাহিনীর দুটি বেইজের কাছে এবং লাশিও শহরে যাওয়ার পথে একটি সেতুর কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারে যে কয়টি সশস্ত্র গোষ্ঠী জাতিগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়ছে, তার মধ্যে টিএনএলএ একটি। ২০১৭ সালে চীনের দেওয়া হিসাবমতে, সহিংসতা আর হানাহানির কারণে মিয়ানমার থেকে প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। এবং ২০০৯ ও ২০১৫ সালের সহিংসতার সময় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। সিএনএন, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ