পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে বাংলাদেশে বিদেশি পতাকা ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান আবদুন নাসের।
এর আগে রোববার বিদেশি পতাকার অননুমোদিত ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
ওই রিট আবেদনে বলা হয়, আগামী ১৪ জুন থেকে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অতীতে দেখা গেছে, ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দলের বাংলাদেশি সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি পতাকা উত্তোলন করেন। বিশেষত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি ইত্যাদি দেশের বড় বড় পতাকায় সারা দেশ ছেয়ে গেছে। অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা ১৯৭২-এর বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলো ছাড়া অন্য কোনো স্থানে অন্য রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
কিন্তু সেই বিধান লঙ্ঘন করে ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে নির্বিচারে দেশব্যাপী বিদেশি পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবারের বিশ্বকাপ উপলক্ষেও ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।
রিটে আরও বলা হয়, রিটকারী একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালার এমন প্রকাশ্য ও নির্বিচার লঙ্ঘন দেখে রিটকারী অত্যন্ত ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হন। এমতাবস্থায় আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবল বা অন্য কোনো উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের বিনা অনুমোদনে কোনো প্রকার বিদেশি পতাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র সচিবকে একটি নির্দেশনা জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে উত্তোলিত বিদেশি পতাকাগুলো নামিয়ে ফেলার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।