বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে চলতি অর্থ বছওে প্রথম ১০ মাসে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব আদায় কমে গেছে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩ লাখ ৭৬ মেট্রিক টন বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি হয়েছে ১৪ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি হয়েছিল ১০ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। এসময় বেনাপোলে রাজস্ব আদায় কমেছে। প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে। কাস্টম সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে শুল্কমুক্ত পণ্য ও কম শুল্কযুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হওয়ায় আমদানির পরিমাণ বাড়লেও রাজস্ব আদায় কমে গেছে। বেনাপোল কাস্টমস এর পরিসংখ্যানে জানান যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসে আমদানি হয়েছে এক লাখ ৪ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৬৪ মেট্রিক টন, আগস্টে আমদানি হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ১৩৫ দশমিক ৮৯ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৮ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৪ দশমিক ৮৭ মেট্রিক টন, ডিসেম্বর মাসে এক লাখ ৩৭ হাজার ৩০৪ দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন এবং জানুয়ারি মাসে আমদানি হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ১১৪ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন পণ্য। ফেব্রæয়ারি মাসে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৪ মেট্রিক টন, মার্চ মাসে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন, এপ্রিল মাসে আমদানি করা হয়েছে এক লাখ লাখ ১১ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৯১ মেট্রিক টন পণ্য। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব আয় কমে গেছে। কম শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি হলে রাজস্ব কমবে এটা স্বাভাবিক। কাস্টমের মূল্য বৃদ্ধি ও বিজিবির হয়রানির কারণে উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে গেছে। যে কারণে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব কমে যাচ্ছে। বেনাপোল আমদানি রফতানি কারক সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরের খুব একটা উন্নয়ন নেই। কাস্টম চলতি বছর থেকে অতিরিক্ত শুল্কহার নির্ধারণ করেছে। যাতে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আবার পণ্য এনে বন্দরে সময় ক্ষেপণেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বেনাপোল ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকুল পরিবেশ না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছে। যে কারণে এখানে রাজস্ব আদায় কমে গেছে। বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার বেলার হোসেন চৌধুরী জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্যে আমদানি কমে গেছে। কম শুল্কযুক্ত পণ্য যেমন খাদ্যপণ্য বেশি আসছে। এতে শুল্ক খুবই কম। চালে মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক। আর পেঁয়াজে কোন শুল্ক নেই। যেকারণে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব আদায় কমেছে। তবে আগামীতে মাসগুলোতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।