Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপিকে বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে -খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দুষ্টগ্রহ। এই দুষ্টগ্রহকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতারিত করতে হবে। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রীয় পুষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাই, জঙ্গি সৃষ্টি করে। দেশকে মাদকের অভ্যরণ্যে পরিণত করে। আবার বিরোধী দলের থাকতেও মাদক সেবীদের পাশে দাঁড়ায়। তারা মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাড়াশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলে-বির্তকিত করার চেষ্টা করে। এনকাউন্টারের সমালোচনা করে তারা মাদক সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাদের রাজনীতি থেকে বিতারিত করতে না পারলে রাজনীতি আরো কুলশিত হবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় হলরুমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সিটি নির্বাচনে এমপিরা প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে-নির্বাচন কমিশনের বিধি সংস্কার প্রসঙ্গে কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। কারণ তারা একটি যুগোপযুগি একটা আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে পারলেও আমাদের দলের (আওয়ামী লীগের) এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন না। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু থাকতো না। কিন্তু এখন বিধিটির খসড়া অনুমোদন হওয়ার পর এমপিরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ।
খুলনার সিটি নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। নির্বাচনীয় পর্যবেক্ষক, দেশের সব গণমাধ্যমে নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। কেউ বির্তক তুলতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচনকে বির্তকিত করার চেষ্টা করছে। তারা জন্মগত মিথ্যাচারের রাজনীতি করেন। বিএনপি মিথ্যাবাদীর দল। তিনি বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতোই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনেও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, বিরহের কবি। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করতেন। শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্ঠায় তাকে জাতীয় কবি উপাধি দেয়া হয়। জাতীয় কবি যে লড়াই করেছেন, আমরা তার সংগ্রামকে এগিয়ে নেব। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি-এটাই হোক আজকের দিনের প্রত্যাশা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক এমপি ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক চিত্র নায়িকা সাহরাহ বেগম কবরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, সংগঠনের নেত্রী রেহেনা পারভীন, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু প্রমুখ।



 

Show all comments
  • শওকত আকবর ২৬ মে, ২০১৮, ১২:১৯ এএম says : 0
    কামরুলইসলাম সাহেব আপনি বি,এন,পি কে যে কথা বলেছেন তা বোধহয় কোনদিন সম্বাব হবেনা আপনাদের মনোনশীল হওয়া উচিৎ|
    Total Reply(0) Reply
  • Golam Mostofa ২৬ মে, ২০১৮, ৪:২৯ এএম says : 0
    কোন গনতান্রিক দেশের নেতার বক্তব্য এরকম হতে পারে না এবং দেশটা কে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ও মনে করা যাবে না |
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ