পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেআইনিভাবে মানুষ হত্যার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গুম, খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যার মাধ্যমে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। বেআইনি মৃত্যুদণ্ড অপরাধ দমনের মানদণ্ড হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিচারবর্হিভূত হত্যার নামে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানুষ হত্যা প্রাত্যহিক কাজে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মানবধিকারের পরিপন্থী ও আইনের লঙ্ঘন। এ অনাচারের সরকারি প্রশাসনের মানবতার অধঃপতন আরও নিচের দিকে নামছে।
রিজভী বলেন, গতরাতেও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০জনকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। মাদক নির্মূলের নামে বিচারবর্হিভূত হত্যার যে হিড়িক চলছে তাতে গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আছে। তা হল টার্গেট করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে মেরে ফেলা।
গতরাতেও নেত্রকোনায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রদলের সদস্য আমজাদ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সুখবর আওয়ামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে নেই। মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়ার নতুন প্রকল্প হল এই বন্দুকযুদ্ধ।
তিনি বলেন, রমজান মাসে কর্দমাক্ত খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলার করুণ পরিণতিতে দেশের বেহাল অবস্থা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই নতুন এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
দেশের প্রচলিত আইনেই মাদক প্রতিরোধ সম্ভব উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা মাদকবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে নই। অপরাধীদের গ্রেফতার করুন, আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করুন, আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। কিন্তু তা না করে সারা দেশে বন্দুকের অপব্যবহারে মানুষ হত্যা কোনো সভ্যসমাজের কাম্য হতে পারে না।
মাদকবিরোধী অভিযানে গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে ৯ বছরে মাদকে ছেঁয়ে গেছে দেশ। যুব সমাজকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে মাদকের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। এর পেছনে দায়ী ব্যক্তিরা হলেন সরকার দলীয় এমপি বদির মতো রাঘব বোয়ালরা। যারা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে এসব রাঘব বোয়ালদের নাম প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি পুলিশের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নানা চ্যানেলে মাদক এসে ঢুকছে বাংলাদেশে। এ চ্যানেল গুলোর উৎস মুখ বন্ধ করতে পারেনি কেন সরকার? মাদকের আসল গডফাদারদের ধরছেন না কেন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।