চলমান সংঘাতে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীতে ব্যাপক হতাহত হওয়ার তাদেরকে আর টার্গেট না করার ঘোষণা দিয়েছে তালেবানরা। শুক্রবার বিরল এক বিবৃততে এই ঘোষণা দেয়া হয়। বিবৃতিতে তালেবানরা বলে, “সকল মিলিটারি ফরমেশন, সেনাবাহিনী, পুলিশ আরবাকিস (স্থানীয় পুলিশ) এবং সকারের সকল কর্মচারির জীবন ও সম্পদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলো।” স¤প্রতি বসন্ত অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় তালেবানরা। তাতে আমেরিকা ও তার মিত্রদের টার্গেট করার কথা বলা হয়। সশস্ত্র গ্রুপটি জানায় যে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিদেশী দখলদার ও তাদের বসানো দুর্নীতিবাজ সরকারকে রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্য আমাদেরই দেশের মানুষ। পথভ্রষ্ট হয়ে বা অন্যান্য কারণে এরা আমেরিকানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। “তোমরা যদি শত্রæকে সহায়তা করা থেকে সরে যাও তাহলে ইসলামিক আমিরাতের মুজাহিদরা তোমাদের জীবন সহজ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে”, বিবৃতিতে বলা হয়। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী তালেদানদের কাবুলের ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেয়। তারা এখন সারা দেশে হামলা জোরদারের অঙ্গীকার করেছে। গত সোমবার পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশে পুলিশ সদর দফতরে তালেবানরা হামলা চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ২০ সদস্যকে হত্যা করে। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো আফগানিস্তানে যুদ্ধ অবসানের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই তালেবানদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে। স¤প্রতি বিবিসি’র এক জরিপে বলা হয়, দেশের ৭০ শতাংশ জেলায় তালেবানরা সক্রিয়, ৪৪ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে এবং বাকি ৬৬ শতাংশেও তাদের দৈহিক উপস্থিতি দেখা যায়। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত কাবুলের ক্ষমতায় থাকা তালেবানরা শান্তি আলোচনা শুরুর শর্ত হিসেবে বিদেশী বাহিনীকে দেশ থেকে চলে যেতে বলে। এসএএম।