Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানবধের ফর্মুলা খুঁজছেন মাহমুদউল্লাহ

মিরাজের চোখে এগিয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : মাত্রই পূর্ণসদস্যের দেশ হয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৮ বছর আগেই সেই যোগ্যতা অর্জন করেছে। অথচ আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষের শক্তি নিয়েই বেশি প্রশ্ন করা হচ্ছে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এতসব ভাবতে চাইছেন না। বরং নিজেদের সামর্থ্য নিয়েই কাজ করতে চান।
আফগানিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়ে গেছে এই সপ্তাহেই। গতকাল সকালে মাহমুদউল্লাহ মিরপুরে মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকদের। কথা উঠল হুমকি হতে পারা দুই স্পিনার রশীদ খান ও মুজিব উর রেহমানকে নিয়ে। মাহমুদউল্লাহ বললেন, দুজনকে সামাল দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে, ‘অলরেডি ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। যদিও আমি মুজিবকে এখনও ফেস করিনি। রশিদ খানকে খেলা হয়েছে। এরআগে যখন হোম কন্ডিশনে আফগানিস্তানের সাথে খেলেছি তখন খেলেছি আমরা। আমার মনে হয় আগেও বলেছি ওদের বোলিং অ্যাটাকের যে ভ্যারাইটিটা আছে আমাদের ব্যাটিং ডেপথের ওই ক্যাপাবিলিটি আছে যে ওদের বোলারদের ফেস করা।’
টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিং হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বলছেন, নিজেদের দিনে যে কেউ যে কাউকেই হারাতে পারে, ‘আমি ব্যক্তিগতভবে মনে করি টি টোয়েন্টি ফর্মেটে আপনার বড় টিম ছোট টিম বলতে কিছু নেই । নিজেদের দিনে যে কেউ যে কাউকেই হারাতে পারে। আফগানিস্তান হোক, ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়া যে কারো সাথেই খেলি না আমাদের ভালো খেলতে হবে। এই ছোট ফর্মেটে যেহেতু কামব্যাক করার সুযোগ খুবই কম শুরুটা আমাদের ভাল করতে হবে। প্রতিটি সেক্টরে আমাদের ভাল করতে হবে।’
মাহমুদউল্লাহ প্রতিপক্ষ নিয়ে বিচলিত না হয়ে নিজেদের নিয়েই তাই ভাবতে চান, ‘আমি যেটা আগে বললাম আমাদের ব্যাটিং ডেপথটা যেহেতু আছে ওইটার উপরে আমাদের জোর দিতে হবে। আর আমাদের বোলিং বিভাগও ভাল করছে। সাকিব আছে, অপু আছে, মিরাজ আছে; আমাদের বোলিংয়েও বৈচিত্র্য আছে। যদি বোলিং শক্তির কথা বলেন, ওদেরটা আমাদের চেয়ে আলাদা। সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমরা আমাদের স্ট্রেংথগুলোর দিকে ফোকাস করে যেন যেভাবে নিদাহাস ট্রফিতে ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে খেলেছি সেই জিনিসগুলো যদি অ্যাপ্লাই করতে পারি তাহলে ইতিবাচক ফলাফল আশা করতে পারি।’
এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা নেবে আফগান স্পিনাররা, বিশেষ করে রশিদ খান ও মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্পিন বিভাগটাও কম শক্তিশালী নয়। আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আছেন মিরাজও। নিদাহাস ট্রফিতে যেমনটা দেখা গেছে, দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে খেললে থাকতে পারেন নাজমুল ইসলাম। অভিজ্ঞ আবদুর রাজ্জাক আফগানদের বিপক্ষে থাকবেন কি না, সেটি অবশ্য নিশ্চিত নয়। আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন বিভাগ তুলনা করলে এগিয়ে থাকবে কারা? মিরাজের যুক্তি অন্তত অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকবেন আফগানরা, ‘আফগানিস্তানের দুজন স্পিনার ভালো। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। সাকিব ভাই আছেন। রিয়াদ ভাইও প্রয়োজনে ভালো বোলিং করেন। সব মিলিয়ে বলব যে আমাদের স্পিনারদের মধ্যে যোগাযোগটা ভালো। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। এটিই আমাদের এগিয়ে রাখবে।’
মিরাজ এও জানিয়ে রাখলেন, আইপিএল সাকিব-রশিদ খান এক দলে খেলায় তাঁদের ভালো হয়েছে। আর বিপিএলের সৌজন্য রশিদ একেবারে অচেনাও নন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে। মিরাজের আপাতত চিন্তা নিজের চোট নিয়ে। তাঁর আশা, আফগানিস্তান সিরিজের আগেই পুরোপুরি সেরে উঠবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ