Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘অন্যের দখল করা জমিতে ঘর তুলছেন বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি’

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৮, ৯:১৫ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত ‘জায়গা আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের নগরকান্দায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার জায়গায় ঘর না তুলে অন্যজনের দখল করা জায়গায় ঘর তোলা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে জমির মালিক ইউসুফ শেখ। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বদরুদ্দোজা শুভ।
অভিযোগে জানাগেছে, নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের শাকপালদিয়া গ্রামের হতদরিদ্র আলাউদ্দিন ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর বরাদ্দ পান। বরাদ্দের আগে উপজেলা সার্ভেয়ারকে ভুল বুঝিয়ে তিনি আরেক হতদরিদ্র ইউসুফ শেখের জমি নিজের দেখিয়ে সেখানে ঘর তোলার কথা জানান। ইউসুফ শেখ ঢাকায় থাকার সুবাদে গ্রামে না থাকায় সুযোগটি কাজে লাগায় আলাউদ্দিন। গত কয়েকদিন আগে ইউসুফ শেখের জমিতে ঘর তুলতে গেলে তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বাঁধা প্রদান করে। কিন্তু গ্রামের এক মাতুব্বরের সহায়তায় সেখানে ঘর উত্তোলন শুরু হয়। যার বেশীর ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। জোরপূর্বক নিজের জমিতে ঘর উত্তোলনের বিষয়টি ইউসুফ শেখ স্থানীয়দের বললেও জনৈক মাতুব্বরের কারনে কেউ এ নিয়ে উচ্চ বাচ্য করেনি। উপায়ান্তর না দেখে ইউসুফ শেখ আদালতের স্বরনাপন্ন হন। গত ৮ মে আদালত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আলাউদ্দিনকে শোকজ করে। কিন্তু তারপরও ঘর উত্তোলন অভ্যাহত রাখে সংশ্লিষ্টরা। জোরপূর্বক ঘর তোলার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে জানান ইউসুফ শেখ। ইউসুফ শেখের স্ত্রী হাসিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বেশকিছু জমি দখল করে নিয়ে সেখানে ঘর তুলছে আলাউদ্দিন। তাকে মদদ দিচ্ছে স্থানীয় মাতুব্বর দেলোয়ার হোসেন। এর আগেও আমাদের জমিতে থাকা গাছ কেটে নিয়েছে। আমার স্বামী ঢাকায় থাকে। আমি ৩টি ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টের মধ্যে থাকি। আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমার মেয়েদের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার স্বামী গ্রামে এলে জোর পুর্বক টিপসই নিয়ে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার হারুনার রশিদ জানান, জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় আমি ঘরের বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করেছি। তারপরও কিভাবে অন্যের জমিতে ঘর তোলা হচ্ছে এটি আমার বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বদরুদ্দোজা শুভ জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিক ভাবে ঘর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। যার নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার জায়গাতেই ঘর তুলতে হবে এটাই নিয়ম। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনিয়ম

২৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ