Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওয়ানএমডিবি তহবিলের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনবেন মাহাথির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ২:৫৯ পিএম

মালয়েশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য ২০০৯ সালে ওয়ানএমডিবি তহবিল গঠন করা হয়েছিল। ওই তহবিলে তিনশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছিল।

যার মাধ্যমে রাজধানী কুয়ালালামপুরকে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার পাশাপাশি কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ওই তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে মালয়েশীয়দের প্রতারিত করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ থাকার কথা জানিয়ে অন্তত একশ কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করার উদ্যোগ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলাও হয়। মার্কিন বিচার বিভাগের দায়ের করা ওই মামলার কাগজপত্রে মালয়েশিয়ার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নাম উল্লেখ না করে ‘মালয়েশিয়া অফিসিয়াল ওয়ান’ বলা হয়।

ততদিনে অর্থ কেলেঙ্কারিতে মালয়েশিয়াও নাজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে।

নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ নিজের পকেটে পুরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ ওই সময় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

যদিও নাজিব শুরু থেকেই সব অভিযোগ আস্বীকার করেছেন।

ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর মাহাথির তার এক সময়ের পছন্দের প্রার্থী নাজিবকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

কিন্তু নাজিব ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় নিজের সাবেক দলের বিপক্ষে গিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেধে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন বয়সের কারণে রাজনীতিকে বিদায় জানানো মাহাথির।

মাহাথিরের জনপ্রিয়তার জোরেই বুধবারের জাতীয় নির্বাচনে পাকাতান হারাপানের (অ্যালায়েন্স অব হোপ) বড় জয় পায়।

১৯৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর গত ৬১ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকা মালয়েশিয়ায় বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) ভরাডুবি হয়। বিএন’র হয়ে ২২ বছর মাহাথিরই দেশ শাসন করেছেন।

দীর্ঘ ১৫ বছরের বিরতির পর ৯২ বছর বয়সে আবারও দেশের হাল ধরা মাহাথির বলেন, “ওয়ানএমডিবি তহবিলের বেশিরভাগ অর্থ আমরা ফেরত আনতে সক্ষম হব বলেই আমার বিশ্বাস।”

নাজিবের হয়ে কাজ করা সরকারি সংস্থাগুলোয় পরিবর্ত আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, “নির্দিষ্ট কয়েকজনের অবশ্যই পতন হবে।

“আমাদেরকে প্রশাসনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতেই হবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাহাথির

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ