মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালয়েশিয়ার কারাবন্দি সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম রাজার কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেই প্রধানমন্ত্রিত্ব তার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ।
দেশটির চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে অবিশ্বাস্য বিজয়ের পর সদ্য শপথ নেয়া নবতিপর প্রধানমন্ত্রী মাহাথির শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজা তাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছুক বলে আভাস দিয়েছেন।-খবর রয়টার্সের।
তিনি বলেন, রাজার কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম কারাগার থেকে মুক্তি পেলেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে তা হস্তান্তর করবেন।
শনিবার অর্থ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রসহ ১০ সদস্যের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়েছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক সরকারপ্রধান মাহাথির।
আনোয়ার ইব্রাহিম ও মাহাথির মোহাম্মদ একসময়ে মিত্র ছিলেন।
কিন্তু রাজনৈতিক মতপার্থক্যের জেরে মাহাথির ১৯৯৮ সালে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমকে বরখাস্ত করেন।
তখন দেশটিতে মাহাথির-পরবর্তী সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে ভাবা হতো আনোয়ারকে।
মাহাথির কেবল তাকে বরখাস্ত করেই ক্ষান্ত হননি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগ এনে তাকে কারাগারে ঢোকান।
আনোয়ার ইব্রাহিম সবসময় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতেই এসব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
এভাবেই তারা কৃপাহীন শত্রুতে পরিণত হয়ে যান। ২০১৪ সালে নাজিব রাজাকের সরকারও তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনে।
কারণ এর বছরখানেক আগে সাধারণ নির্বাচনে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে আনোয়ারের নেতৃত্বের বিরোধী জোট অপ্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছিল।
গত ৭ জানুয়ারি এতদিনের শত্রু আনোয়ারকে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহাথির বলেন, আনোয়ার তাকে কৃতজ্ঞতার বাঁধনে বেঁধেছেন।
তিনি বলেন, আমাকে গ্রহণ করা তার জন্য সহজ ছিল না। আনোয়ার ও তার পরিবার ২০ বছর ধরে অনেক ভুগেছে। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।
এভাবে দেশটির দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মাহাথিরের শিষ্য নাজিব রাজাককে হটাতে তারা আবার মিত্রে পরিণত হন।
আনোয়ার ইব্রাহিম রাজার কাছ থেকে ক্ষমা ও কারাগার থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত কোনো সরকারি দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।