২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ত্বকের নানাধরনের সমস্যার মধ্যে ব্রণের সমস্যা অন্যতম। বিশেষ করে ১২ থেকে ২৫ এই বয়সের ছেলে মেয়েদের মধ্যেই এই সমস্যা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়। শুনতে অবাক লাগলেও মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা একটু হলেও বেশি থাকে। ব্রণ যে শুধুমাত্র মুখেই হয় তা কিন্তু নয়। মুখের মতো শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন হাত, বুকে কিংবা পিঠেও হতে পারে। ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে তিন চার বছর এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার চার বছর এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার বেশি সময় ধরে এই সমস্যা থেকে যেতে পারে। কেন হয় আমাদের ত্বকের নীচের অংশে থাকে সিবেসিয়াস গø্যান্ড। এই গø্যান্ডে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ বা সিবাম থাকে, যা ত্বককে মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। ত্বকের ওপরের অংশের ছোট ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে সিবাম ত্বকের বাইরে নিঃসৃত হয়ে ত্বককে তৈলাক্ত করে তুলে। যদি কোনো কারণে ত্বকের উপরের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় তখন সিবাম ঠিক মতো বেরোতে পারে না আর এর ফলেই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় সিবাম নিঃসরণের হার বেড়ে গিয়ে পিম্পল হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাছাড়াও আরও কিছু কিছু কারণেও অনেক ব্রণ হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময় গর্ভনিরোধক কোনো ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খেলে অথবা পিরিয়ডজনিত সমস্যার কারণেও এই সমস্যা হয়।
তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল বেসড মেক-আপ করলেও এই সম্যাস্যা বাড়তে পারে। স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিমও ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যা খুব মারাত্মক আকাশ ধারণ করে না। কিন্তু ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছতেই পারে। এমনকী সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বিশেষে ধরনের অপারেশনও করতে হতে পারে। তাই ব্রণ না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। ওষুধে কাজ না হলে অনেক সময় অপারেশন করেও ব্রণের সমস্যা দূর করা হয়। অনেক সময় আবার সেরে গেলেও দাগ থেকে যায়। হাল্কা দাগ ওষুধে সারলেও গভীর দাগ অথবা ব্রণের ফলে মুখে গর্ত হয়ে গেলে কেমিক্যাল ক্লিনিং এর প্রয়োজন পড়ে। দাগ কতোটা গভীর তার উপর নির্ভর করে কেমিক্যাল ক্লিনিং এর জন্য এক না একের বেশি সিটিং এর প্রয়োজন তা ঠিক করা হয়। অ্যাকনে ভালগারিস, এই ধরনের ব্রণ শুধুমাত্র মুখেই দেখা যায়। অ্যাকনে রোসাসিয়া, এই ধরনের ব্রণ দেখা যায় নাক বা চিবুকে।
কিছু ভুল ধারণা ঃ পেটের সমস্যার কারণে ব্রণ হয়। একেবারেই ভুল এই ধারণা। পেটের গন্ডগোলের কারণে কখনও ব্রণ হয় না। শুধু মুখেই ব্রণ হয়। ব্রণ মুখ ছাড়াও হাতে, বুকে বা পিঠেও হতে পারে। মেয়েদের ত্বকে ব্রণ বেশি হয়। একদমই তা নয়, বরং মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
মনে রাখবেন ঃ নিয়মিত শ্যাম্পু করা আর মুখ ধোওয়া অবশ্যই দরকার। বিশেষত গরমের দিনে অয়েলবেস মেক-আপ না করাই শ্রেয়। তৈলাক্ত ত্বক হলে তো একেবারেই নয়।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।