মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরাক-সিরিয়ার রাজত্ব হারিয়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তানে আস্তানা গাড়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইরাক-সিরিয়ার মতো আরেকটি সাম্রাজ্য গড়তে আবারও আদাজল খেয়ে লেগে মাঠে নেমেছে আইএস। নানগারহারের চেনা ঘাঁটি ছেড়ে এখন আফগানিস্তানের জৌঝান এবং দারজাব অঞ্চলে নতুনভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে আইএস। আর এবারও সেই পুরনো কৌশল। যৌনদাসী, জীবনসঙ্গী, যৌন জিহাদি, মোটা অঙ্কের মার্কিন ডলারের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণ-যুবকদের দলে ভেড়াচ্ছে গোষ্ঠীটি। আফগান যুবসমাজকে চাকরি, জিহাদ বা তাদের প্রেমিকাকে তাদের জীবনসঙ্গী করে দেয়ার টোপ দিয়ে আনুগত্য কিনে নিচ্ছে আইএস। এ ব্যাপারে তাদের টার্গেটই হচ্ছে ২০ বছরের আশপাশের তরুণরা। যেমন- ২৩ বছরের মহম্মদ শাহের প্রেমিকার বাবার দাবি করা ১৫ হাজার মার্কিন ডলার নগদ জোগাড় করতে পারেননি শাহের বাবা। কারও কাছে সাহায্য না পেয়ে অবশেষে চার মাস আগে আইএসে যোগ দেয় শাহ। তার দিনকয়েক পরই জঙ্গিদের সাহায্যে প্রেমিকাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সে। ছেলের এই কীর্তিতে অসন্তুষ্ট এবং আইএসের ভয়ে শাহের বাবা, মা দারজাবে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে এখন শরণার্থী অধ্যুষিত শেবারঘানে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আধিপত্য বজায় রাখতে বাড়ি বাড়ি ঢুকে আইএস বাড়ির মেয়েদের সংখ্যা জেনে নিয়ে বাড়ির বাইরে সেই নির্দিষ্ট সংখ্যার পতাকা ঝোলাতে নির্দেশ দিচ্ছে। যেমন- কোনো পরিবারে চারজন মেয়ে থাকলে চারটি পতাকা ঝোলাতে হবে। পরে তারা সেখান থেকে মেয়েদের অপহরণ করে যৌনদাসী করছে। দারজাবে ৪০টিরও বেশি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। পড়াশোনা থমকে গিয়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রীর। আইএসের ভয়ে দারজাব থেকে শেবারঘানে পালিয়ে গিয়েছে ৭০ হাজার আফগান পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন যতই বলুক, তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। কখন কোন পরিবারের ছেলেমেয়েদের আইএস টার্গেট করবে, তা নিয়ে তারা সর্বক্ষণ আতঙ্কিত থাকেন। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।