নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচ বোলারই লেগ স্পিনার। টেস্ট, ওয়ানডেও দলগুলোর ট্রাম্প কার্ড লেগ স্পিনাররা। বিশ্বজুড়ে লেগ স্পিনারদের জয়জয়কারের সময়ে বাংলাদেশে হাহাকার। একমাত্র যিনি সে অভাব পূরণ করতে পারতেন সেই জুবায়ের হোসেন লিখন হারিয়ে গেছেন হুট করেই। তবে সেই হারানোর দায় নিজের উপর নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প তার।
গত এক মাস থেকে নিজের উদ্যোগে মিরপুর একাডেমিতে এসে ফিটনেস ও স্কিল ট্রেনিং করে যাচ্ছেন জুবায়ের। মেন্টর হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে নিজেকে আরও ধারালো করতে পার করছেন ব্যস্ত সময়। জানালেন কঠোর অনুশীলনে বাড়ছে ফিটনেস, ‘রানিং করছি, জিম করছি। প্রতিদিন তো বোলিং থাকছেই। এখন অনুশীলন অনেক ভাল হচ্ছে। আগে এতটা ফিট ছিলাম না। এখন শরীর ফিট হয়েছে অনেকটা, ওজনও কমছে। অনুশীলন সুবিধা পাচ্ছি। শুক্রবারের দিনও আমাকে উইকেট দেওয়া হয়। সব কিছু মিলিয়ে ভালো হচ্ছে।’
এখন অনেক পরিশ্রম করছেন কিন্তু যখন জাতীয় দলের আলোয় এসেছিলেন, নিজের অবহেলায় তা ধরতে রাখতে পারেননি বলে অকপটে স্বীকার করে নিলেন, ‘আমার মধ্যে যদি ওইরকম প্রতিভা না থাকত তাহলে এত দ্রæত জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হতো না। তবু হয়তবা আমার ঘাটতি ছিল। পরিশ্রম কম করতাম, তখন পরিণত ছিলাম না। অনেকজন বলার পরেও করতাম না অনেক কিছু। এখন বুঝতে পারছি যে আমার কি ভুলগুলো ছিল।’
৬ টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ৩০.৮১ গড়ে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। ৩ ওয়ানডেতে তার শিকার ৪ উইকেট। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন ২ উইকেট। পরিসংখ্যান বলে আরেকটু সুযোগ তার প্রাপ্যই ছিল। তবে জুবায়ের বাদ পড়েছেন ফিটনেসের ঘাটতি আর বাড়তি কিছু করতে না পারায় তাগিদের অভাবে। পরিশ্রমে অবহেলা করে বোলিংয়ের ধার কমিয়েছেন, শরীরের মেদ বাড়িয়েছেন। ফলে দল থেকে বাদ পড়তেও সময় লাগেনি। সেই বাদ পড়া তাকে বুঝিয়েছে ভালো সময়ের গুরুত্ব, ‘দল থেকে বাদ পড়ার পর বুঝেছি, খারাপ সময় না এলে আসলে মানুষ ভালোটা বুঝে না। খারাপ সময় এসেছে, ভুলগুলো বুঝেছি। আমার সুযোগ আসলে চেষ্টা করব ভুলগুলো না করতে।’
আগের চেয়ে বলের গতি বেড়েছে, জায়গায় বল ফেলতে পারা হচ্ছে নিখুঁত। ঘরোয়া মৌসুমে কোন ম্যাচে খেলার সুযোগ মেলেনি, মফস্বলে গিয়ে খেলে বেড়াচ্ছেন খেপ। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে জুবায়ের চান ম্যাচ খেলার সুযোগ, ‘যদি ম্যাচ খেলি দুই তিনটা আমার আত্মবিশ্বাস পুরো আবার ফিরে আসবে। যেখানে পারি (খেপ) ম্যাচ খেলতেছি এবং ভালো করতেছি। আমার বোলিং যারা দেখছে, যারা ব্যাট করছে সবাই বলছি গতি, একুরেসি সব ভালো হচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।