পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাখাওয়াত হোসেন : চিরচেনা যে ঢাকায় সহজে যান মিলে না, সেখানে এখন যানবাহন আছে কিন্তু যাত্রী নেই। রাজধানীর এ চিত্র গত গোটা সপ্তাহ জুড়েই। বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবস ও শবে বরাতের লম্বা ছুটি পেয়ে রাজধানীর অনেকেই গ্রামের বাড়ি কিংবা বেড়াতে এখন ঢাকার বাইরে। ফলে রাজধানীর পথঘাট এখন প্রায় সুনশান নিরবতা। ফাকা রাজধানীতে এখন অনেকেই যাত্রী ছাড়া গণপরিবহনে উঠতে গিয়েও ভয় পাচ্ছেন। ছিনতাই বা গণডাকাতির ভয় অনেকের মধ্যে। যদিও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সক্রিয় রয়েছেন। নগরীর রাস্তাঘাটের মতোই শপিংমলগুলো একেবারেই ফাঁকা। ভিড়ের রাজধানীতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। কোথাও নেই কোনও যানজট। গণপরিবহনগুলোতেও মিলছে না যাত্রী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে গতকাল।
বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল থেকে ২ মে পযন্ত— ছয় দিনের মধ্যে শুধু ৩০ এপ্রিল অফিস খোলা ছিল। তবে এদিন অনেকেই ছুটি নিয়েছেন। পাশাপাশি কেউ কেউ বৃহস্পতিবারও (৩ মে) ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে নিয়েছেন। এরপর শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি। ফলে টানা ৯দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে রাজধানী। এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নগরীর সড়ক, বিপণী কেন্দ্রসহ সর্বত্র।
অতি ব্যস্ততম সড়ক কাওরান বাজারে সকাল সাড়ে দশটার দিকে দেখা গেছে, সিগনালে কোনও ট্রাফিক পুলিশ নেই। দু-একটি যানবাহন থাকলেও সেগুলো নিজ নিজ দায়িত্বে সিগনালে থামছে, আবার চলে যাচ্ছে। ফার্মগেট-কাওরানবাজার সার্ক ফোয়ারা হয়ে বাংলামোটর-শাহবাগ-পল্টন মোড় পর্যন্ত ছিল একই চিত্র। যানবাহনের চাপ কম থাকায় অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা। সরেজমিন দেখা গেছে, নিত্য যানজটে আটকে থাকা বনশ্রী রোডের চিত্রও পাল্টে গেছে। পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, লিংক রোড ও নুতন বাজার হয়ে কুড়িল সড়কেও যানবাহনের চাপ চোখে পড়েনি। বিনা বাধায় চলাচল করছে পরিবহনগুলো। মতিঝিল অফিস পাড়া এখন পুরো ফাঁকা। সন্ধ্যার পর পুরো এলাকাই জনমানব শূণ্য। মিরপুর-মহাখালী-মগবাজার সড়কেও গাড়ির চাপ একদম নেই বললেই চলে। নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও মিরপুর রোডে বলা যায় হাতে গোনা কিছু পরিবহন চলাচল করছে। তবে নগরীতে গাড়ি কম থাকায় যাত্রীদের কিছুটা হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। যাত্রী কম বলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন বাসযাত্রীরা। মীরপুর থেকে পল্টনে গেছেন মহিউদ্নি নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েই সকালে বের হন। তিনি জানান, অন্যদিন হলে প্রায় দুই ঘণ্টা লাগতো। আজ মাত্র ২০ মিনিটে চলে আসতে পেরেছি। রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। বাংলামোটরে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক সার্জেন্ট মোর্শেদ বলেন, ঈদের সময়ও এতোটা ফাঁকা পাওয়া যায় না ঢাকা। আমরা যে কাজটা পাঁচ-ছয়জন মিলে করি, এখন দুইজন সেটা করতে পারছি।
মতিঝিল এলাকায় বিকেলে কথা হলো ব্যবসায়ী মুন্নার সাথে। তিনি জানান, উত্তরা থেকে সকালে ৪০ মিনিটে এসেছে মতিঝিলে। একজনের সাথে দেখা করে এখন ফিরে যাচ্ছেন। এমন ফাঁকা রাজধানী ২০ বছরে তিনি দেখেননি বলে মন্তব্য করেন। এ সময় হাবিবুর রহমান নামে একজন চাকুরি জীবি জানান, রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকার কারনে গণপরিবহনে উঠতে ভয় লাগে। কারন অধিকাংশ গণপরিবহনে যাত্রী খুব একটা নেই বললেই চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।