গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মে দিবসের র্যালি করতে না দেওয়ায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নকে জানাবে বিএনপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ মে) রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য। বাংলাদেশ আইএলও‘র সদস্য। আইএলও’র কনস্টিটিউশন অনুযায়ী বাংলাদেশ আইএলও’র কনভেশন-৮৭ বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেখানে ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চিত করার কথা, সেখানে আজকে আমাদেরকে সেটা করতে দেওয়া হলো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে নিশ্চয়ই আমরা কখন কোন প্রোগ্রাম করি, সেটা আমাদেরকে জানাতে হয়। এই যে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারলাম না, কেন পারলাম না, সেটাও আমাদেরকে জানাতে হবে। আমরা জানাবো।’
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে র্যালি জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করি। গতকাল (সোমবার) বার বার আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সন্ধ্যা সাতটায় পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদেরকে জানিয়ে দেন যে, শ্রমিক দল কোনও র্যালি করতে পারবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে শ্রমিক দলকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে র্যালি করতে দেওয়া হলো না। আমাদের অফিসের সামনে (নয়া পল্টন) দিয়ে মিছিল যাচ্ছে ট্রাকে করে। মিরপুর, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল আসছে প্রেসক্লাবের সামনে। সেটা যদি সম্ভব হয়, সেটা যদি অন্যায় না হয়,যদি বেআইনি না হয়,তাহলে নয়া পল্টন থেকে মিছি নিয়েল প্রেসক্লাবে যেতে বাধা কিসের ?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সারাদেশে মে দিবসের অনুষ্ঠান করছে, অনেক জায়গায় করতে পারছেও। কিছু কিছু জায়গা হয়তো বাধা দেওয়া হচ্ছে। গত বছর এখান (নয়া পল্টন) থেকে আমরা মিছিল করেছি। এর আগের বছর আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছি। তার আগের বছর এখান থেকেই মিছিল করেছি।’
তিনি বলেন, ‘‘এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও জনসভা করতে দেওয়া হলো না। নয়া পল্টনের অফিসের সামনে থেকে মিছিলও করতে দেওয়া হলো না। অর্থাৎ দিনে দিনে সরকার আরও বেশি স্বৈরাচারী হয়ে পড়েছে। এই তথ্য যখন বিশ্ববাসী জানবে, তখন জার্মানির সেই রিপোর্ট— ‘বাংলাদেশ একটা স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে’, তাদের সেই রিপোর্টকে এটা আরও শক্তিশালী করবে। সেই রিপোর্ট যে সঠিক, সেটার পক্ষে আরেকটা প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে সরকারের আজকের এই সিদ্ধান্ত।’’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ফজলুল হক মোল্লা, মনজুরুল ইসলামসহ শ্রমিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।