Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলুর বাজারে চাঙাভাব

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : স্বল্প পরিসরে কুড়িগ্রামের আলু বিদেশে রপ্তানী শুরু হওয়ায় আলুর বাজারে আবার চাঙাভাব ফিরে এসেছে। ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়তে থাকা ব্যবসায়ীদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্গা, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানী শুরু হয়েছে। ফলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক, কৃষি শ্রমিক, ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক ও পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। তবে রপ্তানির উদ্যোগ বাড়িয়ে আরো কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানি হলে চাষীরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারক ও কৃষি কর্মকর্তারা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় এবার আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ২৬০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ হেক্টর বেশি।
আলু চাষীরা জানান, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান হওয়ার পর নতুন আশায় সরকারি-বেসরকারিভাবে ঋণ করে অনেকেই আলুচাষে এগিয়ে আসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয় আশানুরুপ। এবছর ক্রেতার সংকটে মৌসুমের শুরুতে আলুর বাজার পড়ে গিয়েছিল আশঙ্কাজনকহারে। ক্রেতার অভাবে জমি থেকে আলু তুলতে পারছিলেন না চাষীরা। প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল জাতভেদে ৬-৭ টাকা। এ অবস্থায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে আলু চাষীরা। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে বিদেশে আলু রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে আলুর মূল্য। এখন আলুর মূল্য কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। রপ্তানির জন্য আলু প্রক্রিয়াজাতকরণের নানা ধাপে বেশ কিছু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে লাভবান চাষী ও কৃষি শ্রমিকরা।
আলু রপ্তানীকারক আরোয়া এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল এ মার্কেটিং ম্যানেজার নুরে আলম জানান, বর্তমানে অল্প পরিসরে শ্রীলঙ্কা, মালেয়শিয়ায় ও রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। যে অর্ডার আছে তাতে নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত আলু ছাড়াও কিছু আলু কিনছেন তারা। এতে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আলু বাছাই, গ্রেডিং, ওজন, প্যাকিং, ট্রাকে লোডসহ নানা কাজে দৈনিক ব্যস্ত থাকছে দুই শতাধিক শ্রমিক। কার্টন তৈরী হচ্ছে সাড়ে ৪ কেজি, ৫ কেজি, ৯ কেজি ও ১০ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের। এরপর তা পাঠানো হচ্ছে চট্রগ্রাম বন্দরে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ সরকার জানান, সরকারি উদ্যোগে আলু বিদেশে রপ্তানী করা গেলে কৃষক বেশি লাভবান হতেন। এছাড়াও উচ্চ ফলনশীল ও রপ্তানিযোগ্য আলুর জাত বেশী করে চাষ করলে রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে এবং কৃষক আরও লাভবান হবে বলে জানান তিনি।

 



 

Show all comments
  • Md Jahangir Alam ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:১১ এএম says : 0
    Ami o Alor chas kory loksan hoisy.akn Malaysia choly aisi.ki korbo.
    Total Reply(1) Reply
    • AI ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:২৭ পিএম says : 4
      আলুর মার্কেট ইনডিয়ার হতে এখন। উপায় নাই।

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আলু

৫ অক্টোবর, ২০২২
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৭ জানুয়ারি, ২০২২
২০ নভেম্বর, ২০২১
১৯ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ