Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কেএনএলএ-সেনাবাহিনী সংঘর্ষ মিয়ানমারে

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কাচিন প্রদেশের পর মিয়ানমারের কারেন অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বিদ্রোহী-সেনা সংঘর্ষে দুই সেনাসদস্য আহত হয়েছে। কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর ওই লড়াই তীব্র হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে কয়েক দশক ধরে দেশটির কারেন অঞ্চলে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (কেএনএলএ) সদস্যরা সশস্ত্র লড়াই করছে। মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতি বলছে, ম্যা থা ওর এলাকার হ্যাতগি বাধ প্রকল্পের কাছে কেএনএলএ নিয়ন্ত্রিত ভূখÐে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। কেএনএলএ বলছে, স্থলমাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছে। তবে কেএনএলএ বিদ্রোহীদের এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একই সঙ্গে তাদের কোনো সদস্যও এই সংঘর্ষে হতাহত হয়নি বলে দাবি করেছে। কেএনএলএ প্রধান প্যাডন মান মান বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কেএনএলএ ব্রিগেড-৭ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রবেশের পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। তিনি বলেন, হ্যাতগি বাধ প্রকল্প নির্মাণ কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করেছে বলে আমরা শুনেছি। কারেন বিদ্রোহীদের এই নেতা আরো বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্রিগেড ২,৫,৬ ও ৭ থেকে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে ওই বাধ প্রকল্প এলাকায়। এদিকে পাপুন জেলাতেও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির ব্রিগেড-৫ এর সঙ্গেও স¤প্রতি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি বলেন, তারা প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করায় আমরা পরিস্থিতির ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। শিগগিরই এ সংঘর্ষ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আমরা শঙ্কায় আছি।এদিকে, দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাচিন প্রদেশেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাচিন বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতায় কয়েক হাজার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী ওই অঞ্চল ছেড়ে পালিয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। গত আগস্টে বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানে বর্বর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে জাতিগত নিধন চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। ইরাবতি, রয়টার্স, এএফপি।

 



 

Show all comments
  • সাজ্জাদ ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ২:৪৪ এএম says : 0
    তাদের কপালে দুঃখ আছে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:৩৮ এএম says : 0
    বারমার নিয়ন্ত্রক এক বরবর হিংস্র পগলা কুকুর। ওদেরকে বিশ্ব সম্মিলিতভাবে পাগলা কুকুর ঘোষণা করে বন্দী করিয়া স্বাস্থী নিশ্চিত করিবেন। এই আশায় রহিলাম। এই খোনী পাপিষ্ঠদেরকে ধংস করো। আল্লাহ সোবহানাহু তা'আলা।
    Total Reply(0) Reply
  • khan ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩৯ পিএম says : 0
    এটা মিয়ানমার সরকারের নাটকের অংশ হতে পারে ,রহিগাং প্রত্যাবর্তন ও গনহত্যা বিষয়গুলো ধামাচাপা ও আদৌ রহিগাং পুনরবাসন না করার নীল নকসা হতে পারে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমারে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ