Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ১৩ কোটি টাকার সিগারেট আটক

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ডকুমেন্টে ফোম আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয় বিদেশি সিগারেটের চালান। গতকাল (শনিবার) কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই মিথ্যা ঘোষণায় আনীত ‘৩০৩’ ও ‘মন্ড’ ব্রান্ডের ৬৫০ কার্টন সিগারেট আটক করেছে। আটককৃত চালানে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ সিগারেটের শলাকা রয়েছে। অবৈধভাবে আনীত আটককৃত সিগারেটের বর্তমান বাজার মূল্য ১৩ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে শুল্ক-কর ফাঁকির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। যদি তা যথাযথ ঘোষণা দিয়ে শুল্ক কর পরিশোধের মাধ্যমে আমদানি করা হয় সেক্ষেত্রে।
বন্দর ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ২০ ফুট দীর্ঘ এশটি সন্দেহজনক কন্টেইনারে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এআইআর) শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত চালানটি আটক করেছে।
এতে আমদানি ডকুমেন্টে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার পুরানা পল্টনের গ্রাম বাংলা করপোরেশনের নামে ‘এমভি ওয়েল স্ট্রেইটস’ নামক একটি জাহাজে সিঙ্গাপুর সমুদ্রবন্দর থেকে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছে সন্দেহজনক সেই কন্টেইনার (সিএনসিইউ-১৫০৪৬২০)। অথচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাস্টমসে দাখিল করা ডকুমেন্টে ঘোষণায় ছিল ৫৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ শুল্কযোগ্য ৩৩৭ বেল ফেল্ট বা ফোম। অথচ কন্টেইনারটি স্ক্যানিং করে দেখা গেছে, সেখানে থরে থরে কার্টন ভরা। এ অবস্থায় কাস্টম এআইআরের কর্মকর্তারা কন্টেইনারে সিগারেট মজুত থাকার সন্দেহ করেন। তখন কন্টেইনারটি বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পাহারায় রাখা হয়।
এদিকে গতকাল কায়িক পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান জানান, আমরা অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছি, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া। তারা এর আগে কখনো আমদানি করেনি। বিদেশ থেকে সিগারেট আমদানিতে ৪৫০ শতাংশ শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু তা গোপনে রেখেই মিথ্যা ঘোষণায় এক পণ্য আমদানির বদলে সিগারেট আনা হয়েছে। এটি সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি সিগারেটের সবচেয়ে বড় চোরাচালানের অপচেষ্টা, যা এআইআর শাখার সময়মতো তৎপরতার কারণে ভেস্তে গেছে। আইনবিধি অনুযায়ী আটককৃত সিগারেটের পুরো চালান বাজেয়াপ্ত করা হবে। এরপর যথানিয়মে সিগারেটের গুণগতমান পরীক্ষার পর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের কাছে বিক্রি করা হবে। অন্যথায় মানহীন প্রমাণিত হলে পুরো সিগারেটের চালানটি ধ্বংস করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ, শিপিং এজেন্টকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চিঠি দেবে বলে একজন কর্মকর্তা জানান। এ ধরনের মিথ্যা ঘোষণায় আরও কোন চালান আসতে পারে কিনা এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখা সজাগ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দরে

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ