পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন সরকার সমর্থিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আসন্ন বাজেটে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান তারা। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক নেতারা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী আন্তরিক হলেও তার সক্ষমতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। তিনি প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে পদত্যাগ করতে যান, কিন্তু শিক্ষকদের সঙ্গে বসার আগ্রহ দেখান না। তাই জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সারাদেশে স্মারকলিপি দেয়ার সহ নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ১০ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়ক ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুল হক বলেন, গত ১৪ মার্চ প্রেসক্লাসে কয়েক লাখ শিক্ষকদের সমাবেশে সাতদিনের সময় নিয়েছিলেন মন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান। দাবিগুলো সরকারিভাবে আশ্বাস দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই আমরা ঘরে বসতে থাকি পারি না। বাজেটে জাতীরকরণে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। শিক্ষকরা নেতারা বলেন, মাত্র ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব। কিন্তু আমলা এটাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে আরও বড় অংকের কথা বলে আটকে দিেেচ্ছ। এক সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের পক্ষে বলেও এখন তিনি থেমে গেছেন। এখানে আমলা তাকে ভুল বুঝিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এ ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর কোন ভ‚মিকা নেই অভিযোগ করে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী উল্টো শিক্ষকদের কটাক্ষ করে কথা বলছেন। শিক্ষকরা নাকি গাড়ি ব্যবহার করেন। শিক্ষকরা হুমকি দিয়ে বলেন, আপনারা যদি আমাদের নিয়ে কথা বলেন তাহলে আমরাও কিন্তু আপনাদের বিষয়ে মুখ খুলবো। আগে যারা টেম্পুতে চড়তেন তারা এখন পাজেরো ছাড়া চলেন না। আমলারা সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। আর সরকারও জাতীয়করণ করতে এই জুজুর ভয় পাচ্ছে।
কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, শিক্ষানীতির আলোকে আমরা ১১ দফার জন্য আন্দোলন করছি। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সকল মহলেই আমাদের যৌক্তিক দাবি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অথচ আমাদের দাবি পূরণে এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
শিক্ষকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান, অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি, প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অনুরূপ প্রদান, অবসর সুবিধা ও কল্যাণ বোর্ড বিলপ্ত করে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা ইত্যাদি। দাবি আদায়ে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১০ মে ঢাকাসহ সকল জেলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি, ২৬ জুন দেশের সকল জেলায় সমাবেশ ও দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল। বাজেট ঘোষণার পর পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক ছাড়াও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ফকরুদ্দীন জিগার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসীন রেজা, মহাসচিব ইয়াদ আলী খান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ এম এ আওয়াল সিদ্দিকী, বিলকিস জামান, সৈয়দ জুলফিকার আলম, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আবুল কাশেম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।