মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন। ওই এলাকায় সংঘর্ষে চার হাজারের অধিক মানুষ ঘরবাড়িছাড়া হয়েছে। ২০১১ সালে ১৭ বছরের অস্ত্র বিরতি চুক্তি ভেঙ্গে পড়ার পর থেকে চীন ও ভারত সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় মিয়ানমার বাহিনীর সাথে নিয়মিত লড়াই করে আসছে সেখানকার সবচেয়ে শক্তিশালী এই বিদ্রোহী গ্রুপ কেআইএ। এপ্রিলের শুরু থেকে সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। চার হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছে। কাচিনভিত্তিক নাগরিক সংগঠনগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। অপরদিকে রাখাইনের পরিস্থিতি এখনও চরম উদ্বেগজনক বলে সতর্কতা জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার এ হুঁশিয়ারির ফলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার আশা ক্ষীণ হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদেরকে আমাদের মানবিকতা বিষয়ক সহকর্মীরা বলেছেন যে, এখনও রাখাইনের পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। উত্তর রাখাইন থেকে এখনও মানুষের দেশ ছেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। জুলুম, চাঁদাবাজি করা হচ্ছে মুসলিম স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এছাড়া মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে আরও কয়েক হাজার মানুষ ওই অঞ্চল ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউমেনিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) প্রধান মার্ক কাটস এএফপিকে বলেন, গত তিন সপ্তাহে চীনা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্য থেকে চার হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ১৫ হাজার মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ হাজার মানুষ আইডিপি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। মার্ক কাটস সা¤প্রতিক সহিংসতা সম্পর্কে বলেন, আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, ওই এলাকায় এখনও অনেক বেসামরিক বাসিন্দা আটকা পড়ে আছেন। ওই অঞ্চলের ১৮টি টাউনশিপের প্রায় অর্ধেকের মধ্যেই সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কেআইএ বাহিনীর মোকাবেলার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে হাজার দুয়েক পদাতিক সেনা পাঠিয়েছে। সাথে রয়েছে জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল নাউ বু এ তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্স, এসএএম, এএফপি, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।