পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তেহরান কখনো বলপ্রয়োগের মুখে বশ্যতা স্বীকার করবে না। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গত বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন। খামেনি বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উদ্ধত বিশ্বশক্তিগুলোর বলপ্রয়োগের চেষ্টা সফলভাবে প্রতিহত করেছে এবং তা করে যাবে...সব মুসলিম দেশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য শত্রুদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়া উচিত। খামেনি তার বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথারও সমালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এক সপ্তাহও টিকবে না বলে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন। খামেনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য মুসলিমদের জন্য অবমাননাকর...আমাদের অঞ্চলে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ চলছে, এটি দুঃখজনক। কিছু কিছু অনগ্রসর মুসলিম দেশের সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত। অপর দিকে ইরান, রাশিয়া ও চীনের স্বার্থ পরিপন্থী মার্কিন পদক্ষেপ মোকাবেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে মস্কো এবং বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান। রাশিয়ার সোচি শহরে চীনের জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী গুয়ো শেংকুনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি। তিনি বলেন, ইরান, চীন ও রাশিয়া যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির তালিকায় রয়েছে সে কারণে এ তিন দেশের উচিত ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থান নেয়া। আলী শামখানি বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য রাশিয়ার সোচি শহরে অবস্থান করছেন। দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের ১১০টি দেশ অংশগ্রহণ করছে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুর কথা উল্লেখ করে আলী শামখানি বলেন, এই সমস্যা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় তাকফিরি সন্ত্রাসবাদ পরাজিত হয়েছে সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা দামেস্ক সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অজুহাত তুলে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যাতে দেশটিতে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। ইরানের এ কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসবাদপন্থী দেশগুলো এখন আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ পাচারে ব্যস্ত এবং এই পদক্ষেপ চীন, রাশিয়া ও ইরানের সীমান্তকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখ ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ইরান, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তোলা জরুরি। পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।