Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে যে অবস্থা চলছে তা যত শীঘ্র বন্ধ হয় ততই মঙ্গল

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এই লেখা এমন এক সময়ে লিখতে বসেছি যখন দেশে ঘটছে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলা হচ্ছে এজন্য যে এসব ঘটনা থেকে দেশের শাসন ব্যবস্থা সম্বদ্ধে প্রকৃত অবস্থা জানার সুযোগ ঘটছে। বলা বাহুল্য তা দেশের বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক ও দু:খজনক উভয় ধরনের অবস্থারই জানান দিচ্ছে। তবে দু:খজনক হলেও সত্য যে, সন্তোষজনকের পরিবর্তে এসবের মধ্যে দু:খজনকের ভাগটাই যেন একটু বেশী থাকছে।
বলা বাহুল্য, এই লেখার রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করছি গত ২৩ এপ্রিল সোমবার এবং ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন। শুরু করছি একটি আপাত-নিরীহ প্রতিবেদন নিয়ে। দৈনিক ইনকিলাব এর গত সোমবার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত এ প্রধান প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল : “ষড়যন্ত্রে ক্ষতবিক্ষত সুন্দরবন”। প্রতিবেদনে বলা হয় : বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ধীরে ধীরে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। সিডর-আইল্যায় লাখ লাখ মানুষের প্রাণ রক্ষাকারী এই প্রাকৃতিক ঢালের পাশে নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণেই মূলত এ অবস্থার সৃষ্টি। ইউনেস্কোর শর্ত উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে ঘটছে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজডুবি, এবং প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্রকে ফেলছে বিপর্যয়ের মুখে।
২০১৫ সালেও শ্যালা ও পশুর নদীর মোহনায় কয়লাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবি ঘটেছিল। ডুবে যাওয়া জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর আগে ২০১৪ সালে শ্যালা নদীতে ফানেস তেল বোঝাই ট্যাংকার জাহাজ ডুবিতে পানিতে তেল ছড়িয়ে যায় শত শত মাইল। বিপর্যয়-হুমকির মুখে পড়ে নদীর প্রাণীকূল। সুন্দরবনের এতো বড় বিপর্যয় অথচ সামান্যতেই মায়াকান্না করতে অভ্যস্ত দিল্লীপন্থী বুদ্ধিজীবী সুশীলরা নীরব দর্শক। তবে দেশপ্রেমী বুদ্ধিজীবীও পরিবেশবাদীরা সুন্দরবন নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তারা প্রথম থেকেই এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছেন।
মূলত ভারতের অতি উৎসাহে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে এতে লাভের চাইতে ক্ষতির আশংকাই অধিক বুঝতে পেরে তারা সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করে দেয় এবং বাংলাদেশের অংশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণের উপর জোর দেয়। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, এতে বাংলাদেশের যে সমূহ ক্ষতি হচ্ছে তা বুঝতে আর ব্যর্থ হই এবং ভারতের প্রতি কিছু লোকের অন্ধ সমর্থনের প্রভাবে তারা বাংলাদেশের সমুহ ক্ষতিকর এ কাজটি এগিয়ে নেয়া হয়েছে।
\ দুই \
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সফরে লন্ডনে যান। এবং সেখানে তাঁকে দেয়া এক সংবর্ধনায় বক্তৃতা দান উপলক্ষে তিনি এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার সংকল্প ঘোষণা করেন। তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় একজন সম্ভাবনাময় তরুণ রাজনীতিবিদ। তাকে কোন সরকার যদি বাংলাদেশে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালায় তা শুভ মনে হবারই কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান তার লক্ষ্য ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী ধরেই নিয়েছেন তারেক রহমান একজন সন্ত্রাসী এবং লন্ডনে থেকে তিনি তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তা যাতে তিনি করতে না পারেন এবং তাকে যাতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা সম্ভব হয় সেই উদ্দেশ্যেই তিনি তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বাংলাদেশে আনতে চান কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে।
আসলে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি পছন্দ করেন না, তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। বর্তমানে যে সরকার বাংলাদেশ শাসন করছে তার প্রধান হিসাবে যদি তাঁর ইতিহাস সুক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করা যায় তা হলে প্রমাণিত হবে গণতন্ত্রে তাঁর আস্থা কত কম। এখানে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্থান পতনের ইতিকাহিনী যদি পর্যালোচনা করা যায় তা হলে দেখা যাবে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা লাভ করছেনা তার মূলে রয়েছে পাকিস্তান আমলে আমাদের গণতন্ত্রহীনতার উত্তরাধিকার। অথচ পাকিস্তান আমলের গণতন্ত্র-হীনতার পটভূমিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্ত ভিত গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যে চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নির্ধারণ করা হয় তার মধ্যে সব চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল গণতন্ত্র। এর প্রমাণ সরকার ভেদে অন্য তিনটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা মাঝে মধ্যে পরিবর্তন করা হলেও জনগণের সমর্থন ধন্য গণতন্ত্রের গায়ে আঁচড় কাটতে সাহস পায়নি কোন সরকারই।
দু:খের বিষয়, যে গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে যে গণতন্ত্রের গায়ে কাগজে-কলমে আচড় কাটতে সাহস পাযনি কোন সরকারই, সেই গণতন্ত্রই বাংলাদেশ আমলে বাস্তবে সব চাইতে বেশী অবহেলা ও অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছে। এবং তার শুরু হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলেই, যখন গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি মাত্র সরকারী দল রেখে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়।
পরবর্তী কালে কিছু দু:খজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুন: প্রতিষ্ঠিত করা হলেও এক পর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তখন সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে ঐ সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বসেন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। এটা সম্ভবপর হয়েছিল হয়ত এই বিবেচনায় যে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। এই ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ নেত্রীর কাছে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তুলনায় অধিক সমর্থনযোগ্য বিবেচিত হয়েছিল সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেলের শাসন। বলা বাহুল্য এটা তাঁর গণতন্ত্র-প্রীতির প্রমাণ বহন করে না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের স্মরণ থাকার কথা, এর পর শুরু হয় জেনারেল এরশাদের দীর্ঘ স্বৈরশাসন। পাশাপাশি চলতে থাকে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন এসব আন্দোলন থেকে দূরে থাকে। পরে এক পর্যায়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিলেও ততদিনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী হিসাবে সারা দেশে আপোষহীন নেত্রী হিসাবে খ্যাতি লাভ করে ফেলেছেন রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত নবাগতা বেগম খালেদা জিয়া। এর প্রমাণ পাওয়া যায় এরশাদ আমলের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে। এ নির্বাচন যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে লক্ষ্যে দেশের দুই প্রধান দল সুপ্রীম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত হয়।
যেমনটা আশা করা গিয়েছিল নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা কালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এক পর্যায়ে বলেন, আমি সব জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে কেউ যেন এর মধ্যে আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে। তাঁর ধারণা ছিল প্রাচীনতম ও সুসংগঠিত দল হিসাবে আওয়ামী লীগই জয়লাভ করবে। ভোট গণনা শেষে যখন দেখা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিএনপি, তিনি অবলীলাক্রমে বলে ফেললেন, নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। তবে তাঁর এই মন্তব্যের গুরুত্ব দেয়নি কেউ।
নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নতুন সরকার গঠন করলেন আর সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী হলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়ার মেয়াদ শেষে প্রধানত বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা সহ সংবিধান সংশোধনের ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই যে গণতন্ত্রের নিরিখে সব চাইতে উপযোগী তা প্রমাণিত হয়। বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন এ ব্যবস্থা মোতাবেক অনুষ্ঠিত হয়। এবং তাতে দেশের প্রধান দুই দল পালাক্রমে জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে।
কিন্তু এক শ্রেণীর রাজনীতিকদের অতিরিক্ত ক্ষমতা-ক্ষুধার কারণে এমন সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও পচিয়ে ফেলা হয়। এবং শেষ পর্যন্ত এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সংবিধানের সংশোধনের মাধ্যমে দেশ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে ফিরে যায়। এবং সেই মোতাবেক নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে ব্যবস্থা হওয়ায় সেই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
দেশের দুই প্রধান দলের একটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলে সে নির্বাচন বাস্তবে হয়ে পড়ে নির্বাচনী প্রহসন। বিরোধী দল তো দূরের কথা, সরকারী দলের বহু নেতাকর্মীও ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তারা না গেলেও দলের পক্ষ থেকে তাদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা ঠিকই করা হবে। বাস্তবে হয়ও সেটাই। বিরোধী দলের অনুপস্থিতির সুযোগে সরকারী দলের অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সরকারী দলের প্রার্থীদের ব্যালটপত্রে ইচ্ছামত সীলমেরে তাদের লক্ষ প্রদত্ত ভোট বহুগুণে বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ গ্রহণ করলো। ফলে ভোট গ্রহণের নির্দিষ্ট সময়ে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র প্রায় ফাঁকা থাকলেও সরকারী দলের প্রার্থীদের ‘বিপুল সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত’ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই দু:খজনক অবস্থার প্রেক্ষাপটে জনগণ গত ৫ জানুয়ারী এ নির্বাচনকে ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’ আখ্যা দেয়। বর্তমানে দেশ শাসন করছে যে সরকার, সেটি এই ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই ফসল। ফলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই বললে এতটুকু অতিরেক হবে না।
একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের ফসল হিসাবে জনগণের পরিচিতি-প্রাপ্ত সরকার তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে কঠোর শাস্তি দানের কথা চিন্তা করছে। শুধু তাই নয় অতীতে অবাধ নির্বাচনে তিন তিনবার দেশের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন এমন একজন মহিয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বন্দী করে তাঁকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যে অমানষিক সরকার, প্রার্থীক ক্ষমতাদম্ভে তাদের অমানষিক আকাংখ্য পূরণ করতে পারলেও বিশ্বস্রষ্টার শেষ বিচারের হাত থেকে তারা রেহাই পাবে বলে মনে হয় না। সুতরাং তাদের মধ্য যদি বিশ্ব স্রষ্টা ও শেষ বিচারে বিন্দুমাত্র আস্থা থেকে থাকে, তবে তারা সে অনাকাংখিত অপকর্মের চিন্তা যত শীঘ্র মন থেকে সরিয়ে ফেলতে পারে ততই তাদের জন্য মঙ্গল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবস্থা


আরও
আরও পড়ুন