পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : হাত-পা বেঁধে খেজুর কাঁটা দিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলার পর দুই ভাইয়ের মুখমÐলে ঢেলে দেয়া হয় অ্যাসিড। ২৭ বছর আগে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী রাঙ্গুনিয়ার সেই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে সাজা দেয়া হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ স্বপন কুমার সরকার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। নির্মম নির্যাতনের শিকার দুই ভাইয়ের একজন বিচারের রায় দেখে গেলেও অপরজন আগেই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে আইয়ুব ও ইব্রাহিমকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। আসামি আব্দুল হক, সোলায়মান, ইউসুফ, জাফর, দুলাহ মিয়া ও গোলাম কাদেরকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদÐ ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদÐ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আবুল হাশেম, আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর ও হাশেমকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার আরেক আসামি রশিদ মারা যাওয়ায় আগেই তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আসামিদের মধ্যে শুধুমাত্র আবুল হাশেম হাজতে ছিলেন, রায়ে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন বলেন, রাঙ্গুনিয়ার নিশ্চিন্তাপুরের মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহানের দুই ছেলের চোখ উপড়ে নেয়া এবং অ্যাসিডে মুখ ঝলসে দেয়ার এ ঘটনায় আদালত ৮ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। আর এর মধ্যদিয়ে ২৭ বছর পর হলেও বিচার পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি। তিনি বলেন, আবদুস সোবহানের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল হাশেমের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ১৯৯১ সালের ১৭ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে আবদুস সোবহানের দুই ছেলেকে আসামি আইয়ুব এবং তার সহযোগীরা তুলে নিয়ে যায়। এরপর কবির আহমেদ ও সবুর আহমেদের হাত-পা বেঁধে খেজুর কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ উপড়ে ফেলা হয়। এরপর অ্যাসিডে ঝলসে দেয় তাদের মুখমÐল। দুই ভাইয়ের মধ্যে কবির পরে মারা যান। ওই ঘটনায় আবদুস সোবহানের আরেক ছেলে ফরিদুল আলম তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। ১৯৯২ সালে ১৩ জনকে আসামি করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ২১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মোট ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর গতকাল রায় দেন আদালত। তবে রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন। উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।